ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর তুরস্কে তিন বাহিনীর প্রধানকে বহাল রেখে সামরিক বাহিনীতে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। প্রতিটি স্তরেই আনা হয়েছে নতুনত্ব। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম মিলিটারি কাউন্সিলের (ইয়েস) সভায় এসব রদবদল আনা হয় বলে বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইবরাহিম কালিন জানিয়েছেন। ১৫ জুলাই অভ্যুত্থানচেষ্টার পর এটাই ছিল তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইয়েস সভা। প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের কাছে পাঠানো হবে। তুরস্কের চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে জেনারেল হুলুসি আকার তার পদে বহাল থাকছেন। টার্কিশ ল্যান্ড ফোর্সেসের কমান্ডার হিসেবে জেনারেল সালিহ জেকি কোলাক, বিমানবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আবিদিন উনাল ও নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল রজব বুলেন্ত বস্তানোগুলুও তাদের পদে বহাল থাকছেন। আধাসামরিক বাহিনী গেন্ডারমেরি জেনারেল কমান্ড ও জেনারেল স্টাফ ডেপুটি চিফ পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ দুই পদে এসেছেন যথাক্রমে জেনারেল ইয়াসের গুলার ও জেনারেল উমিত দান্দার। জেনারেল মুসা অ্যাভেসার এখন নতুন ফার্স্ট আর্মির কমান্ডার, জেনারেল ইসমাইল মেতিন তেমেল সেকেন্ড আর্মির কমান্ডার হয়েছেন। ৯৯ জন কর্নেলকে জেনারেল ও অ্যাডমিরাল হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আর ২০ জেনারেল ও অ্যাডমিরালের চাকরি এক বছর বাড়ানো হয়েছে। বৈঠকের আগে অভ্যুত্থানচেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ১৪৯ জেনারেলসহ ১ হাজার ৬৮৪ সৈনিককে বরখাস্ত করা হয়। গত সপ্তায় ৮৭ জেনারেল, ৭২৮ কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার, ২৫৬ সার্জেন্টকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অনলাইন।
