শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সংক্ষেপে

সিরিয়ায় ত্রাণ পৌঁছায়নি 

সংশয়ের মধ্য দিয়েই কাটছে অস্ত্রবিরতির সময়টা, এবার তার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন ও রুশ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখনো সিরিয়ার আলেপ্পোতে পৌঁছায়নি ত্রাণ সহায়তা। তুর্কি সীমান্তে এখনো অপেক্ষায় আছে সারি সারি ত্রাণের মালবোঝাই ট্রাক। জাতিসংঘ যুদ্ধরত গ্রুপগুলোকে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে। রুশ-মার্কিনের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতির মেয়াদ আরও ৪৮ ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মার্ক টোনার জানান, ‘সহিংসতার কথা শোনা গেলেও অস্ত্রচুক্তির ফলে ওই সহিংসতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে আরও ৪৮ ঘণ্টা অস্ত্রবিরতি কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ আল-জাজিরা

 

বৃহত্তম প্রমোদতরীতে দুর্ঘটনা

বিশ্বের বৃহত্তম প্রমোদতরী ‘হারমনি অব দ্য সিস’-এ এক দুর্ঘটনায় ক্রুইজ লাইনারটির এক নাবিক নিহত ও অপর চারজন আহত হয়েছেন। ইতালির মার্সেই বন্দরে নোঙর করা লাইনারটিতে মঙ্গলবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লাইনারটির পঞ্চমতলার  ডেক থেকে একটি লাইফবোট বিচ্ছিন্ন হয়ে ১০ মিটার (৩৩ ফুট) নিচে পানিতে পড়ে যায়। এতে ৪২ বছর বয়সী ওই ফিলিপিনো নাবিকের মৃত্যু হয়। ২৫ তলা ভবনের চেয়ে উঁচু এই লাইনারটি চলতি বছরের মে থেকে কার্যক্রম শুরু করে। জাহাজটিতে ২০টি রেস্তোরাঁ, ২৩টি সুইমিং পুল, একটি নাট্যশালা ও একটি ক্যাসিনো আছে। এএফপি

 

দিল্লিতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পর এবার নয়াদিল্লিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। দুই রোগে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে, যার মধ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। আর চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে এখন ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। এনডিটিভি

 

ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা

জাপানের জীবন্ত আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় সাকুরাজিমা আগ্নেয়গিরিতে শিগগিরই ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, জাপানের কায়ুশু দ্বীপে অবস্থিত সাকুরাজিমায় অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা বাড়ছে। ১৯১৪ সালের অগ্ন্যুৎপাতে যে পরিমাণ লাভা উদগীরণ হয়েছে সে পরিমাণ লাভা জমতে প্রায় ১৩০ বছর সময় লাগতে পারে। আর এ থেকেই ধারণা করা যায়, কয়েক বছরের মধ্যেই বড় ধরনের লাভা উদগীরণ হতে পারে সাকুরাজিমায়।’

প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ এলাকায় অবস্থিত জাপান দ্বীপপুঞ্জে শতাধিক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এর মধ্যে সাকুরাজিমা থেকে নিয়মিতই ছাইভস্ম বের হয়। ছোট ছোট বিস্ফোরণ হতে থাকে সারা বছর জুড়েই। সবশেষ এমন বিস্ফোরণ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে।

গবেষকেরা বলছেন, আগ্নেয়গিরিটিতে প্রতিবছর ১ কোটি ৪০ লাখ কিউবিক মিটার লাভা জমা হচ্ছে। আগ্নেয়গিরিটির নিয়মিত ছোটখাটো উদগীরণে যে পরিমাণ লাভা বের হতে পারছে তার চেয়েও অনেক দ্রুতহারে জমছে আরও বেশি লাভা। আর এ থেকেই বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতটি খুব সম্ভবত ঘটবে আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই। বিবিসি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর