সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিক্ষোভ দমনে কাশ্মীরে গণগ্রেফতার

বুরহান নিহতের খবরে ব্যাপক উত্তেজনা

ভারতের কাশ্মীরে গণগ্রেফতার বাড়ছে। সন্দেহভাজন আখ্যা দিয়ে গত এক মাসেই গ্রেফতার করা হয়েছে কমপেক্ষ ৩০০ কাশ্মীরি তরুণকে। রক্তাক্ত ওই উপত্যকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলেছেন, গণগ্রেফতারের এই কৌশল কাজে আসছে।

বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের এ অবস্থানের কারণে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে দাবি করেছেন উপত্যকাটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী কর্মকর্তারা। পর্যবেক্ষকদের দাবি, বিক্ষোভের সংখ্যা কমে যাওয়ায় শ্রীনগরসহ আশপাশের এলাকাগুলোর রাস্তা আগের চেয়ে অনেক নিরাপদ হয়ে উঠেছে। গতকাল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ৮ জুলাই অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় সেনা অভিযানে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানিসহ তিন হিজবুল যোদ্ধা নিহত হন। বুরহানের নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে কাশ্মীর জুড়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বিক্ষুব্ধ কাশ্মীরিদের দাবি, বুরহানকে ‘ভুয়া এনকাউন্টারে’ হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে পুলওয়ামা ও শ্রীনগরের কিছু অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভের মাত্রা বেড়ে গেলে কাশ্মীরের ১০টি  জেলা, এমনকি দূরবর্তী গ্রামেও কারফিউ জারি করা হয়। বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন মানুষ। আর বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা জারি রাখে নিরাপত্তা বাহিনী। বিক্ষোভ দমাতে কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া কৌশলেরর অংশ হিসেবে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ (সিআরপিএফ) দমন-পীড়ন শুরু করে। প্রতিরোধ হামলার জন্য যারা পাথর নিক্ষেপ করে তাদের জননিরাপত্তা আইনের আওতায় কারাগারে পাঠানো হয়। কাশ্মীরের ইসলামপন্থি সংগঠন হুরিয়াতের কয়েক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাসহ ৪২৩ জন সন্দেহভাজনের একটি তালিকা তৈরি করে তাদের আটক করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তথ্যানুযায়ী অনন্তনাগ, পুলওয়ামা, শোপিয়ান, বান্দিপোরা, সোপোরে এবং কুলগাম এলাকার দূরবর্তী গ্রামগুলোতে গিয়ে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ তল্লাশি চালাচ্ছে ও সন্দেহভাজনদেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। এক কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘গত মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সিদ্ধান্ত নেন যে সহিংসতার জন্য যারা উসকানি দিচ্ছে তাদের ওপর ধরপাকড় চালানো প্রয়োজন। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সর্বশেষ খবর