সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আলেপ্পোয় হাসপাতালে ব্যারেলবোমা হামলা

আলেপ্পোয় হাসপাতালে ব্যারেলবোমা হামলা

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিনিয়ত সেখানে হামলা চলছে। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিলও। দেশটির আলেপ্পো শহরে বিদ্রোহী-অধ্যুষিত এলাকার বড় একটি হাসপাতালে কমপক্ষে দুটি ব্যারেলবোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে হাসপাতালটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, শনিবার এই হামলা হয়। সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটির (এসএএমএস) কর্মকর্তা আদম সাহলুল জানান, এম ১০ নামে ওই হাসপাতালে প্রথমে একের পর এক বোমা হামলা হয়। পরে সেখানে ব্যারেলবোমা হামলা চালানো হয়। এসএএমএস সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলের ছয়টি হাসপাতালে বোমা হামলা হয়। ব্রিটিশভিত্তিক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, শনিবার শাকুর এলাকার একটি হাসপাতালে বোমা হামলা হয়। এতে একজন নিহত হয়। ওই হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে হামলায় নিহত ব্যক্তি হাসপাতালের কোনো কর্মী কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যায়নি। সিরিয়ায় পাঁচ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের মধ্যে আলেপ্পোর সাম্প্রতিক বোমা হামলা সবচেয়ে ভয়াবহ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের জন্য সিরিয়াকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটিকে তিনি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এদিকে সিরিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলেপ্পো এখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বাহিনী ও তাদের একনিষ্ঠ সমর্থক রাশিয়ার বড় ধরনের সামরিক হামলার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলে এ অভিযান শুরু হয়েছে। সিরিয়ায় চলমান সংঘাত বন্ধে ব্যাপক কূটনৈতিক তত্পরতা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। শনিবার মার্কিন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে টেলিফোনে আলাপ হয়েছে। দেশ দুটির মধ্যস্থতায় সিরিয়ায় সপ্তাহব্যাপী অস্ত্রবিরতি চুক্তি গত মাসে ভেঙে গেছে। মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেসবুকে জানায়, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তারা আলেপ্পো নগরীর অবস্থা স্বাভাবিক করার সম্ভাব্যতাসহ সিরিয়ার সামগ্রীক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। এএফপি, বিবিসি।

সর্বশেষ খবর