সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই অস্ত্র ব্যবসায়ী ও অস্ত্র কোম্পানিগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের তরফে। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে যে কোনো সময় অস্ত্রের প্রয়োজন হতে পারে, সেই আশঙ্কাতেই ভারতের বেশ কিছু বড় অস্ত্র কারবারি ও অস্ত্র কোম্পানিকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে যাতে শর্ট নোটিসেই প্রয়োজন মতো অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংস্থার সিইও-রা জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার ক্ষমতা ও সামর্থ্য ঠিক কতটা তা মূল্যায়ন করার জন্য ভারত সরকারের তরফে গত কয়েক দিন ধরেই বার্তা এসেছে। ভারতের শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রের প্রয়োজন হলে তত্ক্ষণাৎ যেন সেই অস্ত্র সরবরাহ করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন শর্ট নোটিসের মধ্যেই অস্ত্র কোম্পানিগুলো যাতে অস্ত্র উৎপাদন বাড়াতে পারে কিংবা প্রয়োজন অনুযায়ী অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে, সরকার তারই বাস্তবতা জেনে নিতে চাইছে। সূত্রে খবর, গত জানুয়ারি মাসে ভারতের পাঠানকোটে বিমান ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পরই সরকারের তরফে অস্ত্র মজুদের বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হয়। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে জরুরি ভিত্তিতে ছোট অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং সুখোই ও মিরাজের মতো যুদ্ধ বিমানের স্পেয়ার স্পার্টস সংগ্রহের বিষয়ে জোর দেয়।