ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলে আইএস জঙ্গিদের বিভিন্ন স্থাপনা বা আস্তানার কাছাকাছি সাধারণ বেসামরিক লোকজনকে রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য মানবঢাল হিসেবে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। মসুলের আশপাশের গ্রামগুলো থেকে ৫৫০টি পরিবারকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে বলে শুক্রবার ওই মুখপাত্র জানান। মুখপাত্র রাভিনা শ্যামদাসানি ওই অঞ্চল থেকে পাওয়া তথ্যে বিষয়টি ‘নিশ্চিত’ হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, মানবাধিকার কার্যালয় থেকে ওই অঞ্চলের একটি গ্রামে ৪০ জন সাধারণ মানুষকে হত্যার যে খবর পাওয়া গেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইরাকি বাহিনী মসুলের কাছাকাছি চলে এলে আইএস যোদ্ধারা সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে ইতিপূর্বে আশঙ্কা করেছিল বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। সম্প্রতি ইরাকের সামরিক বাহিনী দেশটিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি মসুলে অভিযান শুরু করেছে। প্রাণ বাঁচাতে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা দলে দলে পালিয়ে যেতেও শুরু করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বর্তমানে মসুলে বসবাসকারী প্রায় ১৫ লাখ মানুষের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি আইএস যোদ্ধা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও মসুলের বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে যারা মসুল ছেড়ে পালিয়েছে তারা পশ্চিম সীমান্ত বরাবর সিরীয় শরণার্থী শিবিরগুলোয় আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। মসুলকে মুক্ত করতে ইরাকে এখন যে অভিযান চলছে, তার অগ্রগতি দেখতে গতকাল হঠাৎ সেখানে গেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাশ কার্টার। মসুল পুনর্দখলের জন্য এই লড়াই চলছে গত ছয় দিন ধরে। দেশটির সরকারি বাহিনী কারাকোশ নামের একটি শহর দখল করে সেখানে তাদের পতাকা উড়িয়েছে বলে দাবি করে। বিবিসি।