শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

তারপরও মার্চেই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করতে চান তেরেসা মে

তারপরও মার্চেই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করতে চান তেরেসা মে

তেরেসা মে

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে করতে পারবেন না বলে গত পরশু রায় দিয়েছে দেশটির হাইকোর্ট। তবে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন আদালত রায় দিলেও আগামী মার্চের মধ্যে ওই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করতে তিনি পিছ পা হবেন না। ব্রেক্সিট কার্যকর করতে ইইউয়ের লিসবন চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করতে হবে। অর্থাৎ কোনো দেশ ইইউ থেকে বের হওয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়টি লিসবন চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫০ এ নির্ধারিত। গত পরশু হাইকোর্ট রায়ে বলেছে, পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করা যাবে না। যদি তা করা হয় তা হবে বেআইনি। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে ব্রিটেনসহ সারাবিশ্বে। হাইকোর্টের রায়ের পর গতকাল ১০নং ডাউনিং স্টিট বলেছে, জনগণের রায় ব্রেক্সিটের পক্ষে। তাই প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সরকারকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই হবে। তা করতে তাকে প্রথমেই অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করতে হবে। এটা করার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতার জন্য দুবছর সময় পাবেন তিনি। হাইকোর্টের রায়ের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী মার্চের শেষ সময়ের মধ্যে অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করার পরিকল্পনা এখনো আমাদের আছে। আমরা আশা করি সেই সময়সীমার মধ্যে এটা করতে আইনগত অনুমোদন পাওয়া উচিত হবে। রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে। তবে অন্য একটি খবরে বলা হয়, আদালত রায় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার এ আপিল করেছে। আপিলের শুনানি হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। বর্তমান বিশ্বে ব্রেক্সিট একটি বড় ইস্যু। কারণ, এটি ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার হলেও এর সঙ্গে জড়িত বিশ্ব বাণিজ্য, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক খাত। এ প্রক্রিয়া গোটা বিশ্বে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অনেকের আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে ইউরোপ ভেঙে যেতে পারে। আবার অনেকে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন ব্রিটেনকে নিয়ে। বলা হয়েছে, ব্রিটেন এর মধ্য দিয়ে বিপর্যয়কর অবস্থায় পড়বে। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

সর্বশেষ খবর