ভারতের সাবেক ও একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে শনিবার তাকে স্মরণ করছে গোটা দেশ। একই সঙ্গে এই দিনটিকে পালন করা হচ্ছে জাতীয় সংহতি দিবস হিসেবেও। ইন্দিরা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে তার জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই। ইন্দিরাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন কংগ্রেস সভানেত্রী ও ইন্দিরার পুত্রবধূ সোনিয়া গান্ধী এবং নাতি কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধী। দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধীর স্মৃতিসৌধ ‘শক্তিস্থলে’ এদিন সকালে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান রাহুল। পরে টুইট করে তিনি জানান, ‘একজন যোদ্ধা, একজন বিপ্লবী, একজন আত্মপ্রত্যয়ী, সহানুভূতি ও আত্মত্যাগী নারী হিসেবে ইন্দিরাজিকে শ্রদ্ধা জানালাম। আমার ঠাকুমা, আমার বন্ধু, আমার পথকে যে সবসময আলোকিত করেছে।’ প্রিয় নেত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কংগ্রেস দলের তরফে এক টুইট বার্তায় জানানো হয় ‘দেশের আয়রন লেডি ইন্দিরা গান্ধীর জন্মবার্ষির্কীতে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।’ উল্লেখ্য, ১৯১৭ সালের এই দিনেই উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে নেহেরু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ভারতের ইন্দিরা গান্ধী। তার পিতা জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরার ছেলে রাজীব গান্ধীও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিন বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ইন্দিরা গান্ধী।
১৯৮০ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে চতুর্থবারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ইন্দিরা। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইন্দিরার। ১৯৮৪ সালে ৩১ অক্টোবর নিজের দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হন ইন্দিরা গান্ধী।