শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিমান বিভ্রাটে মমতা

হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উত্তাল সংসদ

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

বিমান বিভ্রাটে মমতা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস-প্রধান মমতা ব্যানার্জির বিমান অবতরণ নিয়ে গতকাল উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। সংসদের উভয় কক্ষেই মমতাকে খুনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুলে এদিন সুর চড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী যে বিমানে ছিলেন, সেখানে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা কী করে হয়, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সংসদ সদস্যরা। এর পাশাপাশি কংগ্রেস ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির সংসদ সদস্যরাও এ ইস্যুতে সুর চড়াতে শুরু করেন। এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাতে থাকেন তারা। লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, নোট বাতিলের বিরুদ্ধে মমতা দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ জানাতে যাচ্ছেন। তার জীবন ঝুঁকির মুখে। তার বিমানকেই আগে নামতে দেওয়া উচিত ছিল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি)। এদিকে, মমতার বিমান অবতরণ বিতর্ক নিয়ে যখন সুর চড়ছে ঠিক সেই সময় মুখ খোলে কেন্দ্রীয় সরকার। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা জানান, বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী পাটনা থেকে ইন্ডিগোর যে বিমানে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন, তার আগে আরও কয়েকটি বিমান কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অপেক্ষা করছিল, এর মধ্যে স্পাইস জেট ও এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি বিমানেও জ্বালানি কম ছিল। মমতা ব্যানার্জি যে বিমানটিতে ছিলেন সেই ইন্ডিগোর বিমানের পাইলট কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে (এটিসি) বিমানে জ্বালানি ফুরিয়ে আসার কথা জানান। এর পরই স্পাইস জেট, এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো বিমানে জ্বালানি কম থাকায় এ তিনটি বিমানকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবতরণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। আর এখানেই প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীর যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, যাত্রীদের কোনো আশঙ্কা না থাকলে বিমানবন্দরে ফায়ার সার্ভিস, চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্সসহ সব ইমারজেন্সি ব্যবস্থা তৈরি রাখা হয়েছিল কেন? বিরোধীদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে জ্বালানি কম রয়েছে জেনেও সেটিকে কেন প্রায় আধা ঘণ্টা মাঝ আকাশে চক্কর কাটতে হলো? যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, নির্ধারিত সময় থেকে ১৩ মিনিট দেরিতে বিমানটি অবতরণ করানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর