মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গণমাধ্যমের দাবি জয়ললিতা মৃত হাসপাতালের অস্বীকৃতি

গণমাধ্যমের দাবি জয়ললিতা মৃত হাসপাতালের অস্বীকৃতি

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ও জনপ্রিয় নেত্রী জয়ললিতার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বিকাল থেকে ভারতের একাধিক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে জয়ললিতা আর নেই। কিন্তু যে হাসপাতালে জয়ললিতা ভর্তি হয়েছেন সেই এ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন। তামিল গণমাধ্যমের দাবি, না ফেরার দেশে চলে গেছে ভারতের তামিলনাড়ু অঙ্গরাজ্যের ছয় বারের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা মারা গেছেন। ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম জয়ললিতার মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৬৮। তার এই সংবাদ প্রচার করে সান টিভি, থান্তি টিভিসহ তিনটি দক্ষিণ ভারতীয় টিভি চ্যানেল। একজন সাংবাদিক টুইটারে দেওয়া পোস্টে বলেন, চেন্নাইয়ে পার্টির সদর দফতরের সামনে দলের পতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হয়েছে। তবে জয়ললিতা জীবিত আছে বলেই দাবি করেছে এ্যাপোলো হাসপাতাল। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, লাইফ সাপোর্টে থাকা জয়ললিতার জন্য চিকিৎসকদের বড় একটি দল কাজ করে যাচ্ছে। কিছু টিভি চ্যানেল ভুল করে প্রচার করেছে যে মুখ্যমন্ত্রী না ফেরার দেশে চলে গেছেন। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাদের এই প্রেস রিলিজের ভিত্তিতে খবর সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হলো। এর আগে রবিবার বিকাল ৫টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন ভারতের তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। চেন্নাইয়ের বেসরকারি এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। নেত্রীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জয়ললিতার চিকিৎসায় কার্ডিওলজিস্ট, পালমোনোলজিস্ট ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি মেডিকেল টিম তৈরি করা হয়েছে। লন্ডন থেকে ডা. ডরচার্ড বেলি নামের এক চিকিৎসকের পরামর্শে চলছে তার চিকিৎসা। বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে।

২২ সেপ্টেম্বর এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জয়ললিতা। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তবে রবিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নেত্রী সুস্থ হচ্ছেন। শিগগিরই বাড়ি ফিরবেন। জয়ললিতার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালে ভিড় করেছেন তার দলের নেতা ও সমর্থকরা। হিন্দুস্তান টাইমস।

সর্বশেষ খবর