মানুষের মন জয় করে গত শুক্রবার পরপারে চলে গেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। কর্ণাটকের একটি আদালতের একতলার একটি ঘর। সেই ঘরটির সামনে সব সময় পুলিশের পাহারা। কিন্তু কেন সেই ঘরটি ঘিরে সতর্ক এই পাহারা? না, কোনো দাগী আসামির জন্য এই পাহারা নয়, বরং ওই ঘরে নজরবন্দী প্রয়াত এক নেত্রীর শাড়ি, জুতা, গ্লাস! এই ঘরে বাজেয়াপ্ত করে রাখা রয়েছে সম্প্রতি প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ১০ হাজার ৫০০টি শাড়ি, ৭৫০ জোড়া জুতা এবং ৫০০ ওয়াইন গ্লাস! ১৯৯৬ সালে আয়কর দফতর যেগুলো বাজেয়াপ্ত করে। সব্রহ্মণ্যন স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে জয়ললিতার সম্পত্তি যাচাইয়ে মাঠে নামে আয়কর দফতর। তার ঘর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই সব শাড়ি, স্যান্ডেল এবং ওয়াইন গ্লাস। সঙ্গে রয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ২১.২৮ কেজি সোনার গয়না, ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা মূল্যের রুপার গয়না, ২ কোটি টাকার হীরার গয়না। যে সম্পত্তির কোনো হিসাব জয়ললিতা দিতে না পারায় তা বাজেয়াপ্ত করে আয়কর দফতর। ২০০২ সালে জয়ললিতার সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলাটি কর্ণাটকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকেই এগুলো সবই কর্ণাটক নগর দায়রা আদালতের ওই ঘরে রাখা হয়েছে। জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকেই যেগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। জয়ললিতার দল এআইএডিএমকের সিনিয়র নেতারা যেগুলো মিউজিয়ামে রাখতে চান। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট এখনো এই মামলার নিষ্পত্তি করেনি। আগামী বছর ওই মামলার রায় হওয়ার কথা রয়েছে। যদি জয়ললিতার দোষ প্রমাণিত হয়, তা হলে বাজেয়াপ্ত সব সম্পত্তিই তামিলনাড়ু সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। অনলাইন।