বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
নোট বাতিল ইস্যু

মোদির ইস্তফা চাইলেন মমতা-রাহুল

কলকাতা প্রতিনিধি

মোদির ইস্তফা চাইলেন মমতা-রাহুল

নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে একাট্টা হতে দিল্লিতে যোগ দিলেন দেশটির বিরোধীদলীয় ফোরাম। ওই ফোরামের অন্যতম মধ্যমণি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গতকাল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীকে পাশে বসিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করে মমতা বলেন, ‘নোট বাতিল হলো স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংকের ওপর থেকে মানুষের ভরসা উঠে যাচ্ছে’। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ ‘ক্যাশেলেসের নামে কেন্দ্রীয় সরকার বেসলেস হয়ে গিয়েছে, পুরো ফেসলেস হয়ে গিয়েছে। তারা যা পারছে তাই করছে, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় নষ্ট করে দিচ্ছে’। এটা শুধুমাত্র এমারজেন্সি নয়, এটা সুপার এমারজেন্সি। তার অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য করা হয়নি। মমতা প্রশ্ন তোলেন, ‘সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী ৫০ দিন সময় চেয়েছিলেন। ৫০ দিন হতে আর মাত্র ৩ দিন বাকি। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে আপনি কি সব দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন? আপনি (মোদি) যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে গত ৪৭ দিনে দেশ ২০ বছর পিছিয়ে গেছে। সব উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গেছে’। মমতা বলেন, এই নীতি জনবিরোধী। এই নীতির প্রতিবাদ করলেই তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আজ সোনিয়া, কাল মমতা তো পরের দিন মায়াবতীকে ভয় দেখানো হচ্ছে। যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আগে নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া আলোচনা সেরে নেয় কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, ডিএমকেসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। যদিও এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিল না সিপিআইএম, এনসিপিসহ বিরোধী অনেক দল। কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত থাকতে পারেন বলে শোনা গেলেও শারীরিক কারণ দেখিয়ে এ দিনের যৌথ সভায় উপস্থিত থাকেননি তিনি। এর আগে সংবাদ সম্মেলন থেকে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘দুর্নীতি ও কালো রুপির কথা বলে কেন্দ্রীয় সরকার যে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা পুরোপুরি ব্যর্থ। এতে দুর্নীতি রোধ বা কালো রুপি উদ্ধারে কোনো কাজ দেয়নি। উল্টো নোট বাতিলে দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় ধাক্কা লেগেছে। চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। এদিকে বিরোধীরা যখন দিল্লিতে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করছেন ঠিক তার আগে দেরাদুনের সভা থেকে বিরোধীদের সমালোচনা করে মোদি বলেন, ২০১৪ সালে দেশের মানুষের ভোটে আমি ক্ষমতায় এসেছি, কিন্তু সেটা ফিতে কাটতে নয় কিংবা প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করতে নয়। তারা (মানুষ) চেয়েছে আমি কিছু করে দেখাই, তাই দেশ থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ, কালো রুপি উদ্ধারে আমি কাজ শুরু করেছি’। উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে ৫০০, ১০০০ রুপির নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।

সর্বশেষ খবর