শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কবর থেকে তোলা হতে পারে জয়ললিতার লাশ

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

কবর থেকে তোলা হতে পারে জয়ললিতার লাশ

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সদ্য প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ারাম জয়ললিতার মৃত্যুর কারণ ঘিরে রহস্য ক্রমশ বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট জয়ললিতার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তার মরদেহ কেন কবর থেকে তোলা হবে না, বলে এক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে। হাইকোর্টের একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ গতকাল তাদের পর্যবেক্ষণে এ কথা জানায়।  এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ কেন্দ্রীয় সরকার ও তামিলনাড়ুর রাজ্য সরকারের কাছে একটি নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। পি. এ স্টালিন নামে জয়ললিতার দল এআইএডিএমকের একজন প্রাথমিক সদস্য জনস্বার্থে (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন পিটিশন) একটি রিট পিটিশন করেছিলেন। জয়ললিতার মৃত্যুর কারণ তদন্তে একটি কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি পিটিশনটি দাখিল করেছিলেন। এর শুনানি শেষে বেঞ্চটি ওই মন্তব্য করে। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, জয়ললিতার মৃত্যুর কারণ ঘিরে চলমান রহস্যে তাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। এমনকি তার মৃত্যুর পর রাজ্য সরকারও এ নিয়ে সন্দেহ দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ মৃত্যুর কারণ ঘিরে রহস্যের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ না করায় কেন্দ্রীয় সরকারেরও সমালোচনা করে বিচারপতি বৈদ্যনাথন ও ভি. পার্থিবানের সমন্বয়ে গঠিত ওই বেঞ্চ। এদিকে তামিলনাড়ুর অ্যাডভোকেট জেনারেল মুথু কুমার স্বামী জানিয়েছেন, জয়ললিতার মৃত্যুতে কোনো রহস্য লুকিয়ে নেই। বেঞ্চটির ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, ‘আপনি কী বলছেন। বেঁচে থাকা মানুষের মৌলিক অধিকার। মানুষ জানতে চায় কী ঘটেছিল। আমার যদি সন্দেহ হয় তবে মৃতদেহকে কবর খুঁড়ে উপরে তোলার নির্দেশ দিতে পারি’। উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর মারা যান জয়ললিতা। এর পরদিন মেরিনা বিচের কাছে এমজিআর মেমোরিয়ালে তার মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়। এর আগে পানিশূন্যতা ও জ্বর নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তামিলনাড়ুর অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাঝাগাজ (এআইএডিএমকে) নেত্রী জয়ললিতা (৬৮)। একটানা চিকিৎসার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন ভারতীয় রাজনীতির ‘আম্মা’খ্যাত এই নেত্রী। কিন্তু চিকিৎসার ৭৫ দিনের মাথায় ৫ ডিসেম্বর হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তবে ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তাই এ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।

সর্বশেষ খবর