শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদন

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ঝুঁকি ট্রাম্প ও ব্রেক্সিট

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ঝুঁকি ট্রাম্প ও ব্রেক্সিট

এ বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নাও পৌঁছাতে পারে। এ ক্ষেত্রে বড় দুটি ঝুঁকি হিসেবে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট ও যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিকে চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলেছে, কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এ দুটি রিস্ক ফ্যাক্টর। এ বিষয়ে সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেস্টস’ (জিইপি) রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে নানা অনিশ্চয়তায় বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে শতকরা ২.৩ ভাগে। কারণ, ওই সময় বিশ্বে অস্বাভাবিকভাবে বিনিয়োগ কমে গিয়েছিল। অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল বছরে বিশ্বে বাণিজ্যে। এরসঙ্গে ছিল সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি। এ কারলে নীতি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা ভর করেছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, ২০১৬ সালের তুলনায় এ বছরে তাদের প্রত্যাশা বার্ষিক প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে শতকরা ২.৭ ভাগ। কারণ, এ বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে দাম বাড়তে পারে। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী পরিকল্পনা নিয়েছেন হাতে। অর্থনীতি নিয়ে সম্প্রসারিত নীতি নিতে পারেন তিনি। কিন্তু বিশ্বব্যাংক জোর দিয়ে বলেছে, ট্রাম্পের ইতিবাচক অর্থনৈতিক কর্মতত্পরতাকে তার সংরক্ষণবাদী বাণিজ্য নীতি কঠিন চাপে ফেলতে পারে। তিনি ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা নিয়ে কি ধরনের প্রশাসনিক নীতি গ্রহণ করবেন তা নিয়ে কিন্তু বিরাট রকমের অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। বিশ্ব ব্যাংক ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিটকেও বিশ্ব প্রবৃদ্ধি অর্জনে বড় বাধা মনে করছে। তবে বিশ্ব ব্যাংক আশা করছে সার্বিকভাবে এ বছরে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে শতকরা ১.৮ ভাগ। গত বছর তা ছিল ১.৬ ভাগ। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতে এমন টার্গেট শতকরা ৪.২ ভাগ। ২০১৬ সালে তা ছিল ৩.৪ ভাগ। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, কয়েক বছর ধরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হতাশাজনক। এখন আমরা শক্তিশালী অর্থনীতি দেখতে উৎসাহিত হয়েছি। পরিবর্তিত  প্রেক্ষাপটে অবকাঠামো ও জনমানুষের পেছনে বিনিয়োগ বাড়ানোর সময় এখন। চরম দারিদ্র্য দূর করতে টেকসই ও অংশগ্রহণমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আগামী সপ্তাহে রিপোর্ট প্রকাশের কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ)।

সর্বশেষ খবর