শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইরানে ধসে পড়ল ১৭তলা ভবন

৩০ অগ্নিনির্বাপক কর্মী নিহত

ইরানে ধসে পড়ল ১৭তলা ভবন

ইরানে স্টিলের তৈরি সবচেয়ে পুরনো ১৭ তলাবিশিষ্ট সর্বোচ্চ ভবন প্লাসকো গতকাল অগ্নিকাণ্ডে ধসে পড়েছে। ছবিতে তেহরানের এতদিনের ঐতিহ্য ভবনটির ধ্বংসাবশেষের দৃশ্য —এএফপি

ইরানের রাজধানী তেহরানে স্টিলের তৈরি ঐতিহ্যবাহী প্লাসকো ভবনটি অগ্নিকাণ্ডে ধসে পড়েছে। ১৭ তলাবিশিষ্ট বাণিজ্যিক এ ভবনে গতকাল সকালে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে গিয়ে কমপক্ষে ৩০ দমকলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭০ জন। সেই সঙ্গে ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রেস টিভির খবরে এ তথ্য জানানো হয়। খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল সকালে তেহরানের প্লাসকো ভবনে আগুন লাগে। ভবনটি শপিং কমপ্লেক্স হিসেবে পরিচিত ছিল। পাশাপাশি এখানে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানাও ছিল। আগুন নেভাতে প্রায় ২০০ দমকল কর্মী কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ধসের সময় ভবনটির ভেতরে ছিলেন। দমকলকর্মীসহ দোকানদার ও ক্রেতারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। শেষ খবর পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে। খবরে আরও বলা হয়, রাজধানী তেহরানের উত্তরে অবস্থিত ১৭ তলা ভবনটির নবম তলায় আগুন লাগে। পরে তা দ্রুত উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ভবনটির পাশেই তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কটি দেশের দূতাবাস রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে এই ভবনগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনটির ধ্বংসাবশেষের নিচে ৫০ থেকে ১০০ জন লোক আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় দমকল বিভাগের মুখপাত্র জালাল মালেকি বলেন, ‘পুরনো এ ভবনটির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বেশ দুর্বল ছিল। আমরা এর আগে ভবন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে বারবার সতর্ক করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি ভবনের সিঁড়িটিও ছিল ঝুঁকিপূর্ণ।’ তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ কী এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে ইরানের ইহুদি ব্যবসায়ী হাবিব এলঘানিয়ান ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে এটিই ছিল ইরানের সর্বোচ্চ ভবন। বিবিসি, আল জাজিরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর