তুরস্কের পার্লামেন্টে এবার নারী আইনপ্রণেতাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার তুর্কি সংবিধান পরিবর্তনের প্রতিবাদে স্বতন্ত্র একজন এমপি স্পিকারের মঞ্চের সামনে অবস্থান নিলে মারামারির সূত্রপাত হয়। আইলিন নাজলিয়াকা নামে ওই এমপি অধিবেশন চলার সময় মাইক্রোফোন কেড়ে নিলে ডেপুটি স্পিকার দুবার অধিবেশন মূলতবি করতে বাধ্য হন। পরে নাজলিয়াকাকে তার প্রতিবাদ বন্ধ করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর নারী আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও মারামারি শুরু হয়ে যায়। হাতাহাতিতে বিরোধী কুর্দি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির ডেপুটি স্পিকার পারভিন বুলদান ও ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি বা একেপি’র গোকচেন এঞ্চ নামে দুই নারী আইনপ্রণেতা আহত হন। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তুরস্কে পার্লামেন্টারি সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে  প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের দল একেপি একটি বিল এনেছে। বিলটি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে গত কয়েকদিনে এ নিয়ে তিনবার পার্লামেন্টে মারামারির ঘটনা ঘটল। সংবিধান পরিবর্তন করা হলে এরদোগান টানা দুদফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। বিবিসি।