যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে গোটা বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ট্রাম্পের বিষয়ে ‘নার্ভাস’ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসনে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। সেখানে ‘ফায়ার বিং লিট’ বা লড়াই শুরু করে দেওয়া হয়েছে। চীনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষজ্ঞরাও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হতে পারে। এ জন্য বেইজিংকে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এসেছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় বারবারই চীনের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক লড়াইয়ে নামার হুমকি দিয়েছেন। তবে শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি সরাসরি চীনের নাম উচ্চারণ না করলেও বলেছেন, আমেরিকার কর্মসংস্থানের বিনিময়ে বিদেশি কারখানাগুলো সমৃদ্ধ হচ্ছে। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুঙিইং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে উত্থান-পতন আছে। তা সত্ত্বেও তারা সামনে এগিয়ে যাবে। তবে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রাম্পের নিন্দা জানানো হচ্ছে। সরকারপন্থি পত্রিকা দ্য গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, আগামী চার বছর চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা অপরিহার্য। সম্পর্কে সাংঘর্ষিক অবস্থা দেখা দেবে। নাটকীয় পরিবর্তন চলছে। ট্রাম্প প্রশাসন তার দোরগোড়ায় ও সারা বিশ্বে যে ‘ফায়ার’ আছে তা উসকে দেবে। অপেক্ষা করুন, কখন চীনের পালা আসবে। তবে চীনের বিশেষজ্ঞরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ান
