বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় হট্টগোলের মধ্যে ‘ভাঙচুর রোধ আইন’ পাস

হাতাহাতিতে আহত কংগ্রেস বিধায়ক মান্নান সাসপেন্ড

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

এক কংগ্রেস বিধায়ককে সাসপেন্ড করা নিয়ে হাতাহাতি আর হট্টগোল হয়েছে গতকাল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায়। সম্পত্তি ভাঙচুর সম্পর্কিত বিল পাস করা নিয়ে অধিবেশনে হুলস্থূল বেধে যায়।

এদিন সকালে রাজ্য সরকারের তরফে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেনটেনেন্স অব পাবলিক অর্ডার (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৭ বা সম্পত্তি ভাঙচুর সম্পর্কিত বিলটি অধিবেশনে পেশ করার সময় প্লাকার্ড হাতে নিয়ে একে কালো আইন বলে তার বিরোধিতা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল মান্নান। এ সময় বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জি ওই কংগ্রেস বিধায়ককে আলোচনার জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু স্পিকারের সেই নির্দেশ অমান্য করায় আবদুল মান্নানকে এ দিনের মতো সভা ত্যাগ করতে বলেন। কিন্তু ওই কংগ্রেস সাংসদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে পরে তাকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। আর সাসপেন্ড হওয়ার পরই চিৎকার করতে করতে বসে পড়েন আবদুল মান্নান। এ সময় তাকে জোর করে অধিবেশনের বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন বিধানসভার নিরাপত্তা কর্মীরা (মার্শাল)। এ সময়ই নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় কংগ্রেসের বিধায়কদের। আর সেই হাতাহাতির মাঝে পড়েই বিধানসভার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল মান্নান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে যৌথভাবে অধিবেশন ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা। গণ্ডগোল চলাকালীন কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজককে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি নিরাপত্তা কর্মীরা তার শ্লীলতাহানি করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে সম্পত্তি ভাঙচুর সম্পর্কিত বিল নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যে ধ্বনি ভোটেই শেষ পর্যন্ত ওই বিল পাস হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এদিন বিধানসভায় যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে, সেই বিষয়টিও ওই বিলের মধ্যে পড়বে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রশ্ন তুলে জানান, ‘বিরোধীরা কেন এই বিলের বিরোধিতা করছে? কারণ তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী নয়। তারা শুধু সরকার এবং সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ধ্বংসে বিশ্বাসী।

সর্বশেষ খবর