শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের রাশিয়াপ্রীতি

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উদ্বেগ

ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের রাশিয়াপ্রীতি

২৫০ বছরের স্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রে যা হয়নি তাই হতে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিন সপ্তাহের শাসনামলে। গত মাসের শেষের দিকে ক্ষমতায় এসেই গোটা বিশ্বে একটা নেতিবাচক ‘ঝাঁকুনি’ দিয়েছেন। আর নিজ দেশ আমেরিকায় পুরো আতঙ্কের সৃষ্টি করেছেন। সেই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনেও চলছে টালমাটাল অবস্থা। সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটেছে গত পরশু ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে নিয়ে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বৈরী দেশ রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আঁতাত ও তথ্য পাচার। তবে সিএনএন জানিয়েছে শুধু ফ্লিন নয় ট্রাম্পের আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ঘনিষ্ঠের সঙ্গে রাশিয়ার গোপন আঁতাত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক গোয়েন্দা সূত্র, আইন প্রয়োগকারী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়েছেন সিএনএন কে। বলা হয়েছে, রাশিয়ার ওই সব কর্মকর্তার মধ্যে যাদের  যোগাযোগ ছিল তার মধ্যে অন্যতম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ করা সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মাইকেল ফ্লিন, তৎকালীন নির্বাচনী প্রচারণা বিষয়ক ব্যবস্থাপক পল মানাফোর্ট, সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কার্টার পেজ প্রমুখ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্পের সহযোগী, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যোগাযোগের বিষয়টি জানানো হয়েছিল সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ওই সময়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তাদের ওই যোগাযোগের বিষয়ে আদ্যোপান্ত জানানো হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ান কর্মকর্তাদের ওপর নজর রাখে মার্কিন  গোয়েন্দারা। তারা রাশিয়ান কর্মকর্তা ও ট্রাম্পের ওইসব উপদেষ্টার ফোনালাপে আড়িপেতে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দলের প্রচারণা টিমের সদস্য ও বিদেশি সরকারের কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত এমন যোগাযোগ ছিল অস্বাভাবিক। এটা এতটা ঘন ঘন হয়েছে এবং এতে ট্রাম্পের উপদেষ্টারা জড়িত থাকায় বিষয়টি তদন্ত করা উচিত। ওই যোগাযোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে ও পরে। তাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ সুবিধা পাওয়ার কথা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাশিয়ানরা অধিক সুবিধা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছে। তবে এ নিয়ে যত কথাই বলা হোক ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা টিমের ম্যানেজার মানাফোর্ট অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এদিকে মাইকেল ফ্লিনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তদন্তের দাবিতে এবার সোচ্চার হচ্ছেন রিপাবলিকান দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতাও। সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য রিপাবলিকান রয় ব্লান্ট ফ্লিনের সঙ্গে ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের কথিত যোগাযোগের বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর