শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অভিবাসননীতি থেকে সরছেন না ট্রাম্প

চলতি সপ্তাহেই নতুন আদেশ

অভিবাসননীতি থেকে সরছেন না ট্রাম্প

সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বিতর্কিত নিষেধাজ্ঞার স্থলে এবার আইন মেনেই আগামী সপ্তাহে নতুন একটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার  হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

ফেডারেল আপিল আদালত ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল এবং আপত্তি তুলেছিল সেগুলো আমলে নিয়েই নতুন এ আদেশ দেওয়ার তোড়জোড় চলছে।

নিষেধাজ্ঞার যে অংশগুলোকে আদালত সংবিধানবিরোধী বলে আটকে দিয়েছিল সংশোধন করা হবে সেগুলো। তবে নতুন আদেশে কী কী পরিবর্তন থাকবে তা খোলাসা করেনি মার্কিন প্রশাসন। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন আদেশে অমুসলিম কয়েকটি দেশকে যোগ করা হলে এবং নাগরিক হয়নি এমন কিছু অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বাস করার ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হলে ট্রাম্প তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে আদালতের তদন্ত এড়াতে পারবেন।ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার টার্গেট মুসলিমরা কিনা আদালত কয়েকদিন আগেই তা খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছিল। ট্রাম্প বলেন, ‘নতুন আদেশ অনেক বেশি যথোপযুক্ত হবে। যদিও আমার বিবেচনায় এটি কোনো ভালো সিদ্ধান্ত হবে না। কারণ, আমাদের আদালত ব্যবস্থা খারাপ।’ গত ২৭ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে ১২০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প। আর সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকার কথা বলা হয়। ট্রাম্পের এ আদেশের ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের  বৈধ ভিসা থাকার পরও বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ওই সাত  দেশের নাগরিকদের আটকে দেওয়া হয়। এমনকি দ্বৈত নাগরিকরাও ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে যায়। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় এবং বহু জায়গায় বিক্ষোভ হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার মহান জনগণের জন্য নজিরবিহীন সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রকৃত কাজ আমরা শুরুই করিনি, যা শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। যদিও প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার মাস খানেক হতে চললেও তার মনোনীত কেবিনেট এখন পর্যন্ত পূর্ণভাবে কংগ্রেসের অনুমোদন পায়নি। ২২ জন মনোনীত কেবিনেট সদস্যের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০ জনের নিয়োগ অনুমোদন করেছে কংগ্রেস। সাম্প্রতিক ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনয়ন পাওয়া এত অধিক সংখ্যকের কংগ্রেসের অনুমোদনের জন্য ঝুলে থাকাও নজিরবিহীন। এএফপি, বিবিসি।

সর্বশেষ খবর