শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ

এবার তোপে ট্রাম্পের অ্যাটর্নি জেনারেল

এবার তোপে ট্রাম্পের অ্যাটর্নি জেনারেল

রাশিয়া জুজু পিছু ছাড়ছে না ট্রাম্পের। গেল মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হাত থাকায় ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ অনেকটা পরিষ্কার হয়, এ অভিযোগ দিনে দিনে সত্য হতে চলেছে। কারণ রাশিয়ার সঙ্গে দহরম-মহরমের কারণে ট্রাম্পের প্রধান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পথ ছাড়তে হয়েছিল মাইকেল ফ্লিনকে। এবার অভিযোগ উঠেছে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসকে নিয়ে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রচারণার সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দুবার গোপনে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা তার পদত্যাগ দাবি করেছে। সেশনস ১০ জানুয়ারিতে তার অ্যাটর্নি জেনারেল হওয়ার সাক্ষাৎকারে (কনফার্মেশন হেয়ারিং) রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছিলেন। বলেছিলেন, রাশিয়ানদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ হয়নি। গত বুধবার রাতে একটি বিবৃতিতে তিনি আবারও বলেন, নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাশিয়ার কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি কখনো সাক্ষাৎ করেননি। এ ধরনের অভিযোগ আসলে কী নিয়ে করা হচ্ছে তা তিনি জানেন না। এ অভিযোগ মিথ্যা। সিএনএন লিখেছে, নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ার শুনানিতে বা কোনো বৈঠকে এ বিষয়টি প্রকাশ করেননি জেফ সেশন। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসরায়েককে যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার শীর্ষ গোয়েন্দা ও গোয়েন্দা দলে টানার কারিগর হিসেবে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। এমনটা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তারা। সের্গেই কিসলায়েকের সঙ্গে জেফ সেশনের বৈঠকের কথা প্রথম রিপোর্ট করে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিসলায়েকের সঙ্গে গত বছর জুলাই মাসে রিপাবলিকানদের জনভেনশনের সময় একবার সাক্ষাৎ হয় জেফ সেশনের। আবার সেপ্টেম্বরে তার অফিসে একবার সাক্ষাৎ হয়। তখন জেফ সেশন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির একজন সদস্য। প্রথম দিকে ট্রাম্পকে যারা সমর্থন দিয়েছেন তাদের মধ্যে জেফ সেশন অন্যতম।

সর্বশেষ খবর