সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

নতুন নির্বাহী আদেশে আজ স্বাক্ষর ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

নতুন নির্বাহী আদেশে আজ স্বাক্ষর ট্রাম্পের

বিশ্বের কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নতুন ও সংশোধিত একটি নির্বাহী আদেশে আজ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষর করতে পারেন। মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি গতকাল এ কথা জানিয়েছে। স্থানীয় নিউজ নেটওয়ার্ক পলিটিকো দেশটির ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা দফতরে আজ নতুন নির্বাহী আদেশটিতে সই করবেন ট্রাম্প। তবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত নতুন আদেশে আগেরটির সঙ্গে তুলনায় কী কী পরিবর্তন থাকছে এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি তারা। নতুন আদেশটিকে আইনগতভাবে চ্যালেঞ্জ বা অবৈধ ঘোষণা করা সম্ভব হবে না বলে ইতিমধ্যে কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি ইরান, ইরাক, লিবিয়াসহ সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছিলেন ট্রাম্প। বিতর্কিত এ আদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী তুমুল বিক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। শুধু তাই নয়, নির্বাহী আদেশ জারির এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশটির একটি ফেডারেল আপিল আদালত এটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা দেয়। ফলে অভিবাসন সংক্রান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগ শুরুতেই হোঁচট খায়। তাই কিছু কাটছাঁট করে একই ধরনের আরেকটি আদেশ জারি করছেন ট্রাম্প।

আড়িপাতার অভিযোগ ট্রাম্পের, অস্বীকার ওবামার : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে টেলিফোনে আড়িপাতার অভিযোগ তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যদিও তা নাকচ করে দিয়েছেন ওবামার মুখপাত্র কেভিন লুইস। ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্প টাওয়ারে আড়িপাতার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এমন কর্মকাণ্ডকে তিনি ‘ভয়াবহ’ বা টেরিবল বলে আখ্যায়িত করেন। এর জবাব দিয়েছেন ক্ষমতা থেকে ২০ জানুয়ারি বিদায় নেওয়া প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মুখপাত্র কেভিন লুইস। বলেছেন, ওবামা প্রশাসনের প্রধান নীতি ছিল আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো তদন্তে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের নাক না গলানো। এই চর্চার অংশ হিসেবে ওবামা বা হোয়াইট হাউসের কোনো কর্মকর্তা মার্কিন কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে নজরদারির নির্দেশ দেননি। এ বিষয়ে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে তা মিথ্যা। যদিও অভিযোগের ব্যাপারে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি, তবে টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলছেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার ট্রাম্প টাওয়ারের ফোনে আড়িপাতা হয়েছে। ডেমোক্রেট নেতারা অবশ্য বলছেন, রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্কের বিষয় ধরে যে স্বতন্ত্র তদন্তের দাবি উঠেছে, তা থেকে নজর সরাতেই ট্রাম্প এসব অভিযোগ তুলছেন। বিবিসির সংবাদদাতারা বলছেন, ট্রাম্পের অভিযোগের বিষয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হতে পারে। এএফপি, সিএনএন।

সর্বশেষ খবর