বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ কাউকে আমরা সাধারণত ডিলিট ডিগ্রি পেতে শুনে থাকি। তবে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ আরএসএস’র প্রধান মোহন ভাগবতকে গোবর এবং গোমূত্র-অর্থনীতি নিয়ে গবেষণার জন্য ডি-লিট দেওয়া হচ্ছে! নাগপুরের মহারাষ্ট্র অ্যানিমাল অ্যান্ড ফিশারি সায়েন্স ইউনিভার্সিটি তাকে এ সম্মাননা দেবে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে তার হাতে এ ডিগ্রি তুলে দেওয়া হবে। মূলত ভারতে গরু জবাই নিষিদ্ধের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর গোশালা স্থাপন ও তার অর্থকরী দিকটি নিয়ে নানা তথ্য দেন মোহন ভাগবত। নাগপুরের পশুচিকিৎসা কলেজের স্নাতক ভাগবতের গবেষণার বিষয়টি ছিল শুধু দুধ নয়, গরুর অন্যান্য বর্জ্য পদার্থের উপরেই মূল অর্থনৈতিক ভিত পোক্ত হয় গোশালাগুলোর। আরএসএস প্রধান যেমন গোবর ও গো-মূত্রের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক মূল্য নিরূপণ করেছেন, তেমনই সবিস্তার বর্ণনা করেছেন মানবশরীরে গোমূত্রের নানাবিধ উপকারিতা। এ নিয়ে একাধিক বইও রয়েছে তার। পরিমিত গোমূত্র সেবন যে বলবর্ধক, সে কথাও কারণসহ উল্লেখ রয়েছে তার কাজে। বলা হয়েছে, গোমূত্র সেবনে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়, কমে কিডনিজনিত সমস্যা এবং বাতের ব্যথাও। এ প্রসঙ্গে পতঞ্জলির গো-মূত্র ট্যাবলেটের অর্থকরী দিকটিও উল্লেখ করেছেন ভাগবত। দ্য এশিয়ান এজ।