বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিমানে ল্যাপটপ নিষিদ্ধের পেছনে আইএস হুমকি!

বিমানে ল্যাপটপ নিষিদ্ধের পেছনে আইএস হুমকি!

যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্যের কারণেই বিমানের ক্যাবিনে বড় কোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্র বহন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এজন্য মার্কিন প্রশাসন গত পরশু ভ্রমণ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। একই বিষয় যুক্তরাজ্যে কার্যকর করছে। যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হচ্ছে ছয়টি দেশ থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্যগামী ফ্লাইটে; মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আটটি দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আমেরিকা এবং ইউকে নির্দিষ্ট কিছু যাত্রীবাহী বিমানে যাত্রীদের ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়ে বিমানে ওঠার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আমেরিকান সূত্র বলছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী (আইএস) ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের মধ্যে বিস্ফোরক লুকিয়ে তা বিমানে নেওয়ার জন্য তাদের কাজ চালাচ্ছে এমন তথ্য তাদের হাতে এসেছে। গোপন তথ্যে পাওয়া এই খবর আমেরিকা প্রমাণিত এবং বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে। আমেরিকায় এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে আটটি দেশের ১০টি বিমানবন্দর ব্যবহারকারী নয়টি এয়ারলাইন্সকে। এদিকে আমেরিকা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, আইএস-এর দিক থেকে হুমকির বিষয়টি আলোচনার জন্য ৬৮টি দেশের মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুদিন ধরে একটি বৈঠক করবেন। যে বৈঠকের আয়োজন করছেন আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। এই বৈঠকে ট্রাম্প প্রশাসন আইএসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে তাদের সমর্থনের বিষয়টি এবং প্রেসিডেন্ট তার পররাষ্ট্রনীতিতে বিষয়টিকে কতখানি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তা তুলে ধরবেন।

আইএসের হুমকির বিষয়ে, আমেরিকার হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির একজন ডেমোক্রাট সদস্য, এরিক সোয়ালওয়েল, এবিসি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন বিমানের জন্য নতুন হুমকি তৈরি হয়েছে। ‘আমরা জানি আমাদের শত্রুরা, যুক্তরাষ্ট্রের ভিতরে এবং বাইরের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো, যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমান ধ্বংস করতে চাইছে। এটাই তাদের জন্য অন্যতম সবচেয়ে মূল্যবান লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু সেটা যাতে না ঘটতে পারে সেটা ঠেকাতে আমরা সর্বতোভাবে চেষ্টা করছি। ওই কমিটির আরেকজন সদস্য, রিপাবলিকান পিটার কিং, নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে বলেছেন এই নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তাকে আগে হুঁশিয়ার করা হয়েছিল। ‘এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বেশ সম্প্রতি পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে।’ আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে নয়টি বিমান সংস্থার ফ্লাইট, যাদের মধ্যে রয়েছে রয়াল জর্ডানিয়ান, ইজিপ্ট, টার্কিশ, সৌদি আরবিয়ান, কুয়েত, রয়্যাল এয়ার মারোক, কাতার, এমিরেটস এবং এত্তিহাদ এয়ার। আমেরিকান পদক্ষেপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্রিটেনও যে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে তা অনেকটা একইরকম, তবে তাদের তালিকায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েস এবং ইজি জেট এয়ারলাইন্স রয়েছে। ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান, মিসর, তিউনিশিয়া এবং সৌদি আরব থেকে যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীবাহী ফ্লাইট। আমেরিকার নির্দেশনা ২৫ মার্চ বলবৎ হচ্ছে এবং তা কার্যকর থাকবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত। বিবিসি

সর্বশেষ খবর