শিরোনাম
শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

পর্তুগালে ফাতিমার অলৌকিক ঘটনাকে স্বীকৃতি দিলেন পোপ

ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস পর্তুগালের ফাতিমা শহরের অলৌকিক ঘটনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পোপ এ সংক্রান্ত এক ডিক্রিতে সই করেছেন বলে মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস খবর দিয়েছে। ১০০ বছর আগে ১৯১৭ সালের মে মাসে পর্তুগালের ‘ফাতিমা’ শহরে এক অলৌকিক ঘটনা ঘটে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর বা অলৌকিক ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। অনেক মুসলিম গবেষক মনে করেন, সেদিন তিনটি সৌভাগ্যবান শিশু যে মহীয়সী নারীকে তাসবিহ হাতে দেখেছিল তিনি হলেন মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর কন্যা ফাতিমা (রা.)। তবে খ্রিস্টানরা মনে করেন, সেই নারী ছিলেন মেরি বা হজরত মারিয়াম (রা.)। সেদিনের ঘটনাটি ছিল এ রকম— ১৯১৭ সালের ১৩ মে তিনটি ভাগ্যবান শিশু (দুই বালিকা ও এক বালক) তাসবিহ হাতে এক নারীর আলোকোজ্জ্বল অবয়ব দেখতে পায়। তাদের ভাষায় সেই নূরানী অবয়বটি ছিল সূর্যের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল ও সর্বোচ্চ মাত্রায় জ্বলজ্বল পানিতে ভরা কাচের বা স্ফটিকের বলের চেয়েও বেশি স্বচ্ছ ও শক্তিশালী! সেই অবয়ব তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং তাদের বিশেষ দোয়া শিখিয়ে দিয়েছিলেন। সেই দোয়ার বরকতে অসুস্থ ব্যক্তিরা আরোগ্য লাভ করেছিল। সেই মহীয়সী নারী ওই শিশুদের কাছে প্রতি মাসে একবার করে আরও ৫ বার দেখা দিয়েছিলেন বলে বর্ণনা করা হয়। ( তিনি ১৯১৬ সালেও ওই শিশুদের কাছে একবার দেখা দিয়েছিলেন বলে বর্ণনা রয়েছে)। বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে, ওই ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় ক্যাথলিক চার্চ বা গির্জার কর্তৃপক্ষ এই তিন শিশুকে গ্রেফতার করে এবং তাদের যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর হুমকি দেয়। পরে অবশ্য তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তাদের ঘটনার সত্যতার ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। ফলে তাদের অনুরোধে সেই মহীয়সী নারী নূরানী অবয়ব নিয়ে আবারও হাজির হয়েছিলেন বলে বর্ণনায় এসেছে। প্রায় ৭০ হাজার মানুষ সেই অলৌকিক উপস্থিতি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছিল।

সর্বশেষ খবর