বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

সূয্যি মামার প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে ‘কৃত্রিম সূর্য’

সূয্যি মামার প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে ‘কৃত্রিম সূর্য’

এবার সূয্যি মামাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন বিজ্ঞানীরা! তার মতো না হোক, কাছাকাছি সূর্য তৈরির ‘অস্ত্র’ পেয়ে গেছে বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ সূর্যের ‘বিকল্প’ বানিয়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা। সেই ‘কৃত্রিম সূর্যে’র নাম—‘সিনলাইট’। কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ১০ হাজার সূর্যের আলোর বিকিরণ থেকে যে-পরিমাণ শক্তির জন্ম হয়, বিজ্ঞানীদের দাবি, ঠিক সেই পরিমাণ আলোক শক্তিই ছড়িয়ে দিতে পারবে মানুষের হাতে গড়া ‘কৃত্রিম সূর্য’—‘সিনলাইট’। জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টারের (ডিএলআর) তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যেই সেই ‘কৃত্রিম সূর্য’কে বসানো হয়েছে জার্মানির কোলন শহরের ৯ মাইল পশ্চিমে, জুলিখে। জানা গেছে, ‘সিনেমার প্রোজেক্টরে যে নিষ্ট্রিয় গ্যাস জেননের শর্ট-আর্ক ল্যাম্প থাকে, সেই রকম ১৪৯টি জেনন শর্ট-আর্ক ল্যাম্প দিয়ে বানানো হয়েছে ওই কৃত্রিম সূর্য। তা থেকে যে পরিমাণ শক্তি বেরিয়ে আসবে তা ১০ হাজারটি সূর্যের আলোর বিকিরণ যে শক্তির জন্ম দেয়, তার সমান হবে। ওই কৃত্রিম সূর্য ‘সিনলাইট’ দেখতে অনেকটা মৌচাকের মতো। যা ৫২ ফুট চওড়া আর ৪৫ ফুট উঁচু। এই ‘সিনলাইট’ থেকে ৫ হাজার ৪৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তৈরি হয়। প্রাথমিকভাবে ৮ ফুট উঁচু আর ৮ ফুট চওড়া ধাতব শিটের ওপর ‘সিনলাইটে’র আলো ফেলে ৩৫০ কিলোওয়াট তাপশক্তি তৈরি করা হয়েছিল।’

কেন এই আয়োজন : বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘গোটা ব্রহ্মাণ্ডে মৌলিক পদার্থের মধ্যে হাইড্রোজেন রয়েছে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু সেই মৌল প্রায় সব সময়ই থাকে যৌগিক অবস্থায়, অন্য কোনো মৌলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। যেমন, অক্সিজেনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাইড্রোজেন তৈরি করে ফেলে পানি। এই হাইড্রোজেনটাকে আমাদের খুব দরকার। দূষণমুক্ত জ্বালানি বানানোর জন্য। কারণ সেই জ্বালানি পুড়লে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয় না। দেখা গেছে, কোনো ধাতব শিটের ওপর ‘সিনলাইট’-এর আলো ফেলা হলে যদি তার তাপমাত্রা পৌঁছয় ১ হাজার ৪৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, তা হলে সেই কঠিন ধাতব শিটটি হয়ে যাবে গ্যাসীয়। তখন দেখা যাবে ওই ধাতুর বাষ্প। আর তার সঙ্গে জলের অক্সিজেনের বিক্রিয়া ঘটলে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরি। তার পর তাপমাত্রা আরও বাড়ালে সেই বাষ্পীয় ধাতুর সঙ্গ ছাড়ে অক্সিজেনও।’

সর্বশেষ খবর