শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইউরোপীয় নেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ব্রেক্সিট

প্রায় গোটা বিশ্বকে একসময় শাসন করত ব্রিটেন। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেই রাজত্ব একসময় শেষ হয়ে আসে। কিন্তু নিজের স্বকীয়তার বাইরে এখনো তারা যেতে চায় না। তাই তো গোটা ইউরোপকে যে সংগঠন একদা এক সুতায় গেঁথে ছিল সেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) গাঁট ছাড়তে শুরু করেছে ব্রিটেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে গত পরশু থেকে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে নিয়ম অর্থাৎ লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ সক্রিয় করেছেন। ব্রিটিশরা এ সিদ্ধান্তকে তাদের জন্য সার্বভৌমত্ব ফিরে পাওয়া। অন্যদিকে অন্যদের কাছে এ পদক্ষেপ তিক্ততায় ভরা। ব্রিটেন এ ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলেও ‘আমরা একে অন্যের প্রয়োজনে লাগব’ এমন মন্তব্য করেছেন তাদের অনেকে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলাঁদে, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল প্রমুখ। ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদে বলেছেন, ব্রিটিশদের কাছে বেদনাদায়ক হবে ব্রেক্সিট।  অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, জার্মান ও তার অংশীদাররা অবশ্যই এমন দিন প্রত্যাশা করেনি। তা সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনায় সুষ্ঠু ও গঠনমূলক পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, প্রথমেই আমাদের পরিষ্কার হতে হবে, কিভাবে আমরা আমাদের আন্তঃসম্পর্ক ছিন্ন করব। তারপরই আসে এই প্রশ্ন। ডোনাল্ড ট্রাস্ক বলেছেন, ব্রাসেলস বা লন্ডন কারও পক্ষে ব্রেক্সিট শুরুর দিনটি সুখকর এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। সর্বোপরি প্রায় সব ইউরোপিয়ান, প্রায় অর্ধেক ব্রিটিশ ভোটার পর্যন্ত আশা করে আমরা সবাই একত্রিত থাকব। আলাদা হব না। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লাউডি জাঙ্কার বলেছেন, ব্রেক্সিট শুরুর দিনটি বেদনার। আল জাজিরা।

সর্বশেষ খবর