শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

ট্রাম্পের নিজের রিসোর্টে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

যুক্তরাষ্ট্র সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং

ট্রাম্পের নিজের রিসোর্টে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের ব্যক্তিগত রিসোর্ট ‘মার-এ-লাগো’তে সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প —এএফপি

বিশ্বে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে এখন দুই দেশই বিভোর। তার পরেও দুই দেশের প্রধানরা এখন বসছেন আলোচনায়। বলা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের কথা। গত পরশু যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। এ সফর সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমেরিকার খুব ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। তবে বাণিজ্যিক বিষয়ে এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের প্রশ্নে চীনের অবস্থান যে আমেরিকা মোটেই পছন্দ করছে না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার শি জিন পিং এবং তার স্ত্রী পেং লিউয়ানকে স্বাগত জানাতে ওয়েস্ট পাম বিচ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। এক ঘণ্টা পরে সস্ত্রীক ট্রাম্প পৌঁছেন ওয়েস্ট পাম বিচে। তার পর ট্রাম্পের ব্যক্তিগত রিসোর্ট ‘মার-এ-লাগো’তে শুরু হয় দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচি। ট্রাম্পের রিসোর্টে প্রথমে চা-চক্র এবং তার পর নৈশভোজের আসরের মধ্য দিয়ে হিসাব-নিকাশ মিলাতে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। নৈশভোজের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই   সবার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট জিন পিং এবং তার স্ত্রীকে। ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট এবং   তার অসামান্য প্রতিভাধর স্ত্রীকে আমাদের মধ্যে পাওয়া     অত্যন্ত সম্মানের বিষয়।’ জিন পিংয়ের স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি একজন বিরাট মাপের সংগীতশিল্পী এবং চীনের একজন প্রখ্যাত মানুষ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন  সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জিন পিংয়ের ইতিমধ্যেই সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনা যে এখনো ফলপ্রসূ হয়নি, তাও ট্রাম্প বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এখনো আমরা কিছুই পাইনি। কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। আমি সেটা দেখতে পাচ্ছি। আমার মনে হয়, দীর্ঘ মেয়াদে আমরা একটা খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারব এবং আমি  ভীষণভাবেই সেদিকে তাকিয়ে রয়েছি।’ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, উষ্ণতার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জিন পিং ও তার স্ত্রীকে স্বাগত জানালেও চীনের প্রতি আমেরিকার অসন্তোষের ক্ষেত্রগুলোকে কিন্তু গোপন করার একটুও চেষ্টা করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘বহু বহু বছর  ধরে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা ভালো ব্যবহার পাইনি। যে পথে তার মোকাবিলা করা উচিত ছিল, কোনো প্রেসিডেন্টই সে পথ নেননি এবং উত্তর কোরিয়াকে নিয়েও আমাদের খুব বড় সমস্যা রয়েছে। আমরা দেখতে চাই, কী হয়।’

সর্বশেষ খবর