বুধবার, ১০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফ্লিনের ব্যাপারে ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিলেন ওবামা

ফ্লিনের ব্যাপারে ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিলেন ওবামা

লে. জেনারেল (অব.) মাইকেল ফ্লিনকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ না দিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিলেন বারাক ওবামা। নির্বাচনে জয়লাভের পরপরই ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন তখনই তাকে এ সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন তখনকার প্রেসিডেন্ট ওবামা। তবে ট্রাম্প এ পরামর্শ কানে না নিয়ে বরং বিতর্কিত ফ্লিনকে জাতীয় নিরাপত্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। সাবেক ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন একথা জানিয়েছে। গত ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে জয় পান রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্প। জয়লাভের দুদিন পর ১০ নভেম্বর তখনকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমন্ত্রণে প্রথম হোয়াইট হাউসে যান ট্রাম্প। সেখানকার ওভাল অফিসে ওবামা ও ট্রাম্পের মধ্যকার সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। আর তখনই বিশ্বস্ত ও সহযোগী মাইকেল ফ্লিনকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ না দিতে ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ওবামা। রাশিয়ার সঙ্গে তার বিতর্কিত যোগসূত্র থাকার কারণেই ট্রাম্পকে এ পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। তবে ট্রাম্প ফ্লিনের ব্যাপারে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। অবশ্য ফ্লিনকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগদানের ২৪ দিন পরই তাকে বরখাস্ত করতে অনেকটা বাধ্য হয়েছিলেন ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে তার বিতর্কিত সম্পর্কের খবর মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তুমুল সমালোচনার মুখে ট্রাম্প ফ্লিনকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।  এদিকে, ফ্লিনের ব্যাপারে ট্রাম্প কেন ওবামার পরামর্শ শুনেননি এ ব্যাপারে সম্ভাব্য তিনটি তত্ত্বের কথা শোনা যাচ্ছে। এর প্রথমটি হলো ফ্লিনের ব্যাপারে ওবামার না-পছন্দ। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সন স্পাইসেরও গতকাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ব্যাপারটির কথা জানিয়েছেন। স্পাইসের বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ওবামা এটা পরিষ্কার করেছিলেন যে তিনি জেনারেল ফ্লিনের সমর্থক নন।’ ফ্লিনও ওবামাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখতেন না। দ্বিতীয়টি হলো ট্রাম্পের প্রতি ফ্লিনের আনুগত্য। নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় ফ্লিনের চেয়ে আর কেউ ট্রাম্পের প্রতি বেশি অনুগত ছিল না। ট্রাম্পকে অনেক আগেভাগে সমর্থনও দিয়েছিলেন  তিনি। আর ট্রাম্পের কাছে যেহেতু সবকিছুর ঊর্ধ্বে আনুগত্যের প্রাধান্য বেশি তাই তিনি ফ্লিনকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বানিয়ে এর প্রতিদান দিয়েছিলেন। আর সর্বশেষ ও তৃতীয় তত্ত্বটি হলো নিজের বিচারবুদ্ধিতে ট্রাম্পের আস্থা। যেমন নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় অনেকেই বলেছিল যে তার নির্বাচনে জয়ের কোনোই সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ট্রাম্প নিজের ওপর আস্থা থেকে এগিয়ে যান এবং সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে হিলারিকে হারিয়ে জয় পান। ফ্লিনের ব্যাপারেও নিজের বিচারবুদ্ধিতায় আস্থা রেখেছিলেন ট্রাম্প।  তবে ঠিক কি কারণে বারাক ওবামার পরামর্শ ট্রাম্প শোনেননি তা হয়তো অজানাই থেকে যাবে। সিএনএন।

সর্বশেষ খবর