শিরোনাম
শনিবার, ১৩ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘তিন তালাক’ এক নিকৃষ্টতম প্রথা : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

‘তিন তালাক’ এক নিকৃষ্টতম প্রথা : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

মুসলিমদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের রাস্তা হিসাবে তিন তালাক প্রথা অত্যন্ত ‘জঘন্যতম’ বলে মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এই ধরনের প্রথা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে.এস. খেহরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে তিন তালাক প্রথা নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো মামলার শুনানি হয়। সেখানেই বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয় ‘সমাজে এমন কিছু চিন্তাভাবনা রয়েছে যারা তিন তালাক প্রথাকে বৈধ বলে মনে করে। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য এটি একটি নিকৃষ্টতম প্রথা। এই ধরনের বিবাহবিচ্ছেদ প্রথা অপ্রত্যাশিত।’ এদিন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সিনিয়র আইনজীবী সলমান খুরশিদ আদালতকে সাহায্য করতে নিজেই সওয়াল করতে ওঠেন। তিনি জানান, এটি এমন একটা বিষয় যেখানে আইনি স্ক্রুটিনির কোনো প্রয়োজন নেই। তা ছাড়া নারীদেরও তিন তালাকের বিরোধিতায় ‘না’ বলার অধিকার থাকা উচিত। নিকাহনামা (বিবাহ চুক্তি)-তেই একটি বিধি তৈরি করে এর সংস্থান থাকার পক্ষে অভিমত দেন তিনি। এ সময় বিশ্বের কোনো কোনো মুসলিম ও অমুসলিম দেশে তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ তার একটি তালিকা তৈরি করতে সলমান খুরশিদকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এর পরই বেঞ্চকে জানানো হয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মরক্কো, সৌদি আরবের মতো দেশে তিন তালাক নিষিদ্ধ।

তিন তালাক প্রথার শিকার এক নারীর হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে এদিন আইনজীবী রাম জেঠমালানি আদালতে জানান ‘একমাত্র পুরুষরাই তিন তালাক দিতে পারেন, স্ত্রীরা নয়। এটা সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা (সাম্যের অধিকার) ভঙ্গ করার শামিল। এক তরফাভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করাটা জঘন্য তাই এটাকে এড়িয়ে চলাই উচিত।’ উল্লেখ্য, সংবিধান অনুসারে ‘তিন তালাক’ প্রথা বৈধ কি না তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ঐতিহাসিক শুনানি শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ জন ভিন্ন ধর্মের বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হয় প্রথম দিনের শুনানি।

সর্বশেষ খবর