শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৫০টি দেশের দুই লক্ষাধিক কম্পিউটারে সাইবার হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে। বিভিন্ন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের পর এবার সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটও এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দুষছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য চুরি করেই তাদের বানানো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ঢুকে পড়েছে হ্যাকাররা। এর ফলেই ওই সাইবার হামলা চালানো সম্ভব হয়েছে। সংঘটিত হামলাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য সাবধানবাণী আকারে দেখছে মাইক্রোসফট। কেবল তারাই নয়, প্রযুক্তি খাতে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরাও হামলার জন্য সরাসরি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে দায়ী করেছে। র্যানসমওয়্যার ব্যবহার করে চালানো ওই হামলার ঘটনা প্রথমে শনাক্ত হয় শুক্রবার। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এনএইচএসের কম্পিউটারগুলো আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে দিনের শুরুতেই। দিন শেষে তা বিশ্বের অন্তত ৭৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। বিবিসির খবরে বলা হয়, এই হামলার কারণ হিসেবে সফটওয়্যার ত্রুটির তথ্য জমিয়ে রাখাকে দায়ী করেছে মাইক্রোসফট। তারা এজন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে দায়ী করেছে। তাদের মতে, সফটওয়্যার দুর্বলতার তথ্য পুঞ্জিভূত করে রাখার কারণে তা হ্যাকারদের হাতে চলে যায়, যা ব্যবহার করে ওরা উইন্ডোজ সিস্টেমে ঢুকে হামলা চালায়। মাইক্রোসফট তাদের সবশেষ বিবৃতিতে গতকাল আরও হামলার আশঙ্কা জানিয়েছে।