মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রতিষ্ঠায় আশাবাদী ট্রাম্প

মধ্যপ্রাচ্য সফর

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রতিষ্ঠায় আশাবাদী ট্রাম্প

সৌদি আরবে ইসলামী সম্মেলন শেষ করে ইসরায়েল সফরে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দিনের সফরে প্রথমে তিনি তেল আবিবে যান। সেখানে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় ট্রাম্প গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসের জন্য ইরানকে দায়ী করেন। একই সঙ্গে ঘোষণা করেন, তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ইরানকে পারমাণবিক শক্তিতে শক্তিশালী হতে দিবেন না। তিনি আরও বলেন, তিনি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তির বিরল সম্ভাবনা দেখছেন। এখন সন্ত্রাসকে বিশ্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে এবং এটা সবাই মিলে করতে হবে। এজন্য এই দুই দেশের মধ্যে শান্তির স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। এ সফরে তিনি এর পর জেরুজালেম যাবেন। পরে পশ্চিম তীর সফরের কথা রয়েছে তার। মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বহুদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। বিগত ওবামা প্রশাসন এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। তবে ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার কাল থেকেই ফিলিস্তিনবিরোধী অবস্থান প্রকাশ করে আসছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন শান্তি প্রচেষ্টার জন্য ট্রাম্পের সফরকে তাই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। মুসলিম বিশ্বের একটি বড় অংশ ট্রাম্পকে শুরু থেকেই ইসরায়েল-ঘেঁষা বলে মনে করছে। তিনি অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বিষয়ে কী অবস্থান নেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ট্রাম্প দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মার্কিন অঙ্গীকার ধরে রাখবেন কি না, তা নিয়েও অনেকের উদ্বেগ আছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আভাস দিয়েছে, নিজের অবস্থানগত জায়গা থেকে তিনি ফিলিস্তিন আর ইসরায়েল দুই পক্ষকে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিতে পারেন। মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করে আগামীকাল ট্রাম্প ইতালির রোমে যাবেন। সেখানে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি বেলজিয়ামে যাবেন। এরপর বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটো সামিটে যোগ দেবেন। শেষদিন শুক্রবার যাবেন সিসিলিতে। সেখানে জি-সেভেন সদস্য দেশগুলোর বৈঠকে অংশ নেবেন ট্রাম্প। বিবিসি, সিএনএন।

সর্বশেষ খবর