বুধবার, ৭ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

মে-করবিন ভোটযুদ্ধ

ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন কাল

মে-করবিন ভোটযুদ্ধ

রাত পেরুলেই ব্রিটিশ নির্বাচন। গণতন্ত্রের সূতিকাগার ব্রিটিশের এই নির্বাচনের চারদিন আগে রাজধানী লন্ডনে ঘটে যায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। যাতে তিন সন্ত্রাসীসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন কমপক্ষে ৪৮ জন। তারপরেও আগামীকাল সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচন মূলত ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও বিরোধী লেবার পার্টির মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে যখন গত মাসে আগাম এ নির্বাচনের ঘোষণা দেন তখন ধারণা করা হচ্ছিল এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কনজারভেটিভ পার্টি জয়ী হবে। কিন্তু নির্বাচনের একদিন আগে জনমত জরিপ জানাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে প্রবল। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি শুধু এ পয়েন্টে এগিয়ে আছে বিরোধী দল লেবার পার্টির। তবে এবারের নির্বাচনে দুই প্রধান প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ও লেবার নেতা জেরেমি করবিনের মধ্যে ব্যক্তিত্বের লড়াই হয়ে ফুটে ওঠেছে। নির্বাচনে উভয় দলের কয়েকটি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে, যেমন অভিবাসন, সমাজকল্যাণ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার বিষয় বা ব্রেক্সিট। কিন্তু সব কিছুর মূলেই হচ্ছে অর্থনীতি। লন্ডনে রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিয়া চক্রবর্তী বিবিসিকে বলেন, মানুষ যখন ব্রিটিশ নির্বাচনে ভোট দিতে যাবেন তখন তারা যাচাই করবেন কোন দলের নীতি তাদের আয় অর্থাৎ তাদের পকেটের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে। ‘অনেক নীতিই শুনতে ভালো লাগে এবং মনে হয় হ্যাঁ, এটাই দরকার। কিন্তু সেই নীতি বাস্তবায়ন করতে গেলে যে অর্থ লাগবে সেটা কোথা থেকে আসবে, কর বাড়বে কি না, এসব কথা লোকজন ভোট দেওয়ার সময় ভাবেন’। প্রচারণা হচ্ছে দুই প্রধান দলের নেতাদের ঘিরে— ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের তেরেজা মে আর লেবার পার্টির জেরেমি করবিন। ‘এবারে প্রথম থেকেই আমরা দেখেছি নির্বাচনটা অনেকটা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো হয়ে গেছে। হয় তেরেজা মে না হয় জেরেমি করবিন। সেক্ষেত্রে আমরা নতুন ধারা দেখতে পারছি, যেখানে চরিত্রটা দলের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে’। নির্বাচনের আগে আইটিভি’র পক্ষে সর্বশেষ এক জরিপ চালিয়েছে সার্ভেশন। তাকে দেখানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে যখন নির্বাচন ঘোষণা দেন তখন তার কনজার্ভেটিভ এগিয়ে ছিল শতকরা ২৪ পয়েন্টেরও বেশি ব্যবধানে। কিন্তু সর্বশেষ জরিপে তা অনেকটাই খুইয়েছে দলটি। এখন লেবার দল থেকে তারা শতকরা মাত্র এক ভাগ বেশি সমর্থনে এগিয়ে আছে। বিবিসি, দ্য টেলিগ্রাফ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর