শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

উ. কোরিয়াকে ‘ভয়ঙ্কর জবাব’ দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

উত্তর কোরিয়া একের পর এক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসছে। তবে এই পরীক্ষার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেছেন, ‘এই পরীক্ষা খুব ভয়ানক। এ জন্য প্রয়োজনে কিছু একটা করা হবে।’ পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশে দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডার সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালিও বলেছেন, দরকার হলে তারা দেশটির সামরিক শক্তি প্রয়োগে প্রস্তুত রয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘খুবই বাজে আচরণের জন্য তিনি পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে ভয়াবহ জবাব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন।’  তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব দেশকে এই বৈশ্বিক হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বাজে আচরণের জন্য উত্তর কোরিয়াকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে— তাও দেশটির সামনে প্রকাশ্যে তুলে ধরার কথা বলছি।’ মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর তারা দাবি করেছে, এ ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে পারে। এদিকে বুধবার জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি নতুন প্রস্তাব তোলা হবে। দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা একপ্রকার সামরিক উসকানি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সামরিক পদক্ষেপ মানা হবে না— রাশিয়া : রাশিয়া বলেছে, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দেশটির বিরুদ্ধে কোনো নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিরোধিতা করবে মস্কো। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ উপ-রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির সাফরোনকভ এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত পরিষ্কার যে উত্তর কোরিয়া সংকট সামরিকভাবে সমাধানকে ন্যায়সঙ্গত প্রমাণের চেষ্টা করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।

পশ্চিমা সভ্যতা বিপন্ন :

পশ্চিমা সভ্যতা বিপন্ন বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়ারশতে একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের লিখিত বক্তব্য হাতে পাওয়ার পর তা প্রকাশ করেছে বিবিসি। সেখানে দেখা যায়, সভ্যতাকে রক্ষায় পোল্যান্ড প্রস্তুত উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থার হুমকির বিষয়ে সতর্ক করে দেন।

১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওয়ারশ বিদ্রোহের স্মৃতিতে নির্মিত ঐতিহাসিক একটি ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পূর্ব ইউরোপের প্রতি মার্কিন সমর্থনের বিষয়টি পুনর্নিশ্চিত করেন।

সর্বশেষ খবর