শিরোনাম
বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

কাতার ইস্যুতে পিজিসিসি ভেঙে যেতে পারে : ইইউ

কাতার ইস্যুতে পিজিসিসি ভেঙে যেতে পারে : ইইউ

পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা পিজিসিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যকার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সংস্থাটি ভেঙে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থনসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে সংস্থার অন্য দুই সদস্য কুয়েত এবং ওমান নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। পিজিসিসির বাইরে আরেক দেশ মিসরও সৌদি আরবের সঙ্গে জোট বেঁধে কাতারের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই অবস্থান নিয়েছে। যদিও কাতার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে এবং তাদের চাপের মুখে কোনোভাবেই আত্মসমর্পণ করবে না বলে জানিয়েছে।

এ অবস্থায় সোমবার ব্রাসেলসে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেছেন, ‘চলমান উত্তেজনা থেকে বের না হতে পারার কারণে পিজিসিসি ভেঙে যেতে পারে এবং বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চিন্তিত।’ অবশ্য, চলমান সংকট নিরসনের জন্য কুয়েতের নেওয়া উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, কুয়েতের এ উদ্যোগের মাধ্যমে সংকটের সমাধান হওয়া উচিত।

সংকট সমাধানের আশায় কাতারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী : কাতার ও আরব বিশ্বের অন্য চারটি দেশের মধ্যকার সংকটের সমাধানের আশায় দোহায় পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। চারদিনের আরব বিশ্ব সফরের দ্বিতীয় পর্বে গতকাল তিনি কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছান। পৌঁছার পরপরই তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমিরের ভাই শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি। তবে তাদের মধ্যকার আলোচনার বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন সফরের প্রথম পর্বে সোমবার কুয়েত যান। সেখানে তিনি দেশটির শাসক শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল সাবার সঙ্গে বৈঠক করেন। কাতার সংকটের সমাধান কীভাবে করা যায় এসব নিয়েই আলোচনা করেছেন তারা দুজন। এ সংকটের মধ্যস্থতা করছে কুয়েত। আরব বিশ্ব সফরের তৃতীয় পর্বে টিলারসনের সৌদি আরব যাওয়ারও কথা রয়েছে।

একটি তেল কোম্পানির সাবেক প্রধান কর্তা হিসেবে তেলসমৃদ্ধ এই অঞ্চল সম্পর্কে তার বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই ট্রাম্প প্রশাসন তাকে কাজে লাগিয়ে এ সংকটের সমাধান আনার চেষ্টা করছে। এছাড়া আরব বিশ্বের যে চারটি দেশ কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ দিয়েছে তার মধ্যে সৌদি আরব সবচেয়ে প্রভাবশালী যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেরও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এপি, আল-জাজিরা।

সর্বশেষ খবর