শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

আত্মীয়তার ক্ষেত্র বাড়ল যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে

আত্মীয়তার ক্ষেত্র বাড়ল যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের দাদা-দাদি, নানা-নানীসহ অন্যান্য ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনরাও এখন দেশটিতে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ‘ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার’ সংজ্ঞা বর্ধিত করে হাওয়াই ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক ডেরিক ওয়াটসন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি রায় দিয়েছেন। রায়ে বর্তমান প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার সংজ্ঞাকে ‘অতিমাত্রায় সীমাবদ্ধ’ আখ্যায়িত করে এর সমালোচনাও করেছেন বিচারক ওয়াটসন।

গত মাসে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এক রুলিংয়ে ছয়টি মুসলিম দেশের ওপর আরোপিত ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আংশিক কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের সঙ্গে ‘প্রকৃত পারিবারিক বন্ধন’ (বোনাফিড ফ্যামিলি টাই) রয়েছে কেবল এমন আত্মীয়দেরই দেশটিতে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এ রায় উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে অভিবাসীদের দাদা-দাদি, নানা-নানী, নাতি-নাতনি, শ্যালক-শ্যালিকা, চাচা-চাচি, ভাগ্নে-ভাগ্নি, ভাতিজা-ভাতিজি এবং চাচাতো-খালাতো ভাইবোনেরাও দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারবে না। হাওয়াই রাজ্যের বিচারক ডেরিক ওয়াটসন ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। রায়ে তিনি নির্দেশ দেন, আত্মীয়তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে ওইসব বিধিনিষেধ আরোপ করা যাবে না। অর্থাৎ দাদা-দাদি, নাতি-নাতনি, চাচা-চাচিসহ উল্লিখিত আত্মীয়স্বজনদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা যাবে না। বিচারক ওয়াটসনের ভাষায়, ‘উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সাধারণ বোধ এটাই বলে যে ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সদস্যদের যে সংজ্ঞা হয় তাতে দাদা-দাদি, নানা-নানীদের (গ্রান্ডপ্যারেন্টস) অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আসলে, গ্রান্ডপ্যারেন্টসই হচ্ছে ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সদস্যের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।’

হাওয়াই ডিস্ট্রিক্ট জাজের ওই রায় শুধু রাজ্যটিতে নয়, বরং পুরো যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর