সূর্য বা নক্ষত্র। যেগুলো আকাশে জ্বল জ্বল করে জ্বলে। যেগুলোকে কেন্দ্র করে গ্রহরা প্রদক্ষিণ করে। এবার এই ব্রহ্মাণ্ডে দেখা মিলল সবচেয়ে ছোট্ট তারা বা নক্ষত্রের। যার আকার, আয়তনে একেবারে আমাদের পাড়া-প্রতিবেশী শনি গ্রহের মতো। ব্রহ্মাণ্ডের ওই ক্ষুদ্রতম নক্ষত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে-‘ইবিএলএম-জে ০৫৫৫-৫৭এবি’। আমাদের পৃথিবী যে ছায়াপথের অর্থাৎ ‘মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি’র। ক্ষুদ্রতম তারাটি এই ছায়াপথের সদস্য। পৃথিবী থেকে এটি ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে। যার মানে, আলোর গতিতে (সেকেন্ডে প্রায় ৩ লাখ কিলোমিটার) ছুটলে আজ থেকে ৬০০ বছর পর আমরা গিয়ে পৌঁছতে পারব সেই ক্ষুদ্রতম নক্ষত্রটিতে। এই তারাটি নিয়ে লেখা ছাপা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’-এর সাম্প্রতিক সংখ্যায়। মূল গবেষক, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ছাত্র আলেকজান্ডার ভন বোয়েত্তিচার বলেছেন, ‘এটাই এই ব্রহ্মাণ্ডের ক্ষুদ্রতম তারা। এর চেয়ে ছোট চেহারার তারা বা নক্ষত্রের হদিস এখনো পর্যন্ত মেলেনি।
তারাটি যদি এর চেয়ে চেহারায় ছোট হতো, তা হলে তার শরীরে হাইড্রোজেন ফিউশনই হতো না। সূর্যকে জ্বালিয়ে রাখে এই হাইড্রোজেন ফিউশনই। তৈরি করে তাপ আর আলো। যা না থাকলে জীবনের সৃষ্টি আর তার বিকাশই হতো না। ওই নক্ষত্রটি সেক্ষেত্রে ধীরে ধীরে বাদামি রঙা বামন নক্ষত্র হয়ে যেত।’ এই নক্ষত্রটির পিঠের মহাকর্ষীয় বলের পরিমাণ আমাদের পৃথিবীর ৩০০ গুণ বলেও দাবি গবেষকদের।
