বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সকে বরখাস্ত করছেন ট্রাম্প!

অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সকে বরখাস্ত করছেন ট্রাম্প!

মতের মিল না হলেই প্রশাসনের সব লোককে পদ থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কথিত রুশ হস্তক্ষেপের তদন্ত ঘিরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দের জেরে এবার বিদায় ঘটছে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সের। ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সেশন্সের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সেশন্সের বিকল্প ভাবনা ইতিমধ্যে ট্রাম্প শুরুও করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিকল্পের মধ্যে এগিয়ে আছেন নিউইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র রুডি জিউলিয়ানি। তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে। গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়া ও তার নির্বাচনী শিবিরের মধ্যে আঁতাত হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। এফবিআই এবং পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের ইন্টেলিজেন্স কমিটি এ অভিযোগের তদন্ত করছে। এ তদন্তসংশ্লিষ্ট সব ব্যাপার থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল সেশন্স নিজেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এ থেকেই সেশন্সের প্রতি ট্রাম্পের তিক্ততা ও দ্বন্দ্বের শুরু। এছাড়া নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের কথিত অপরাধের তদন্ত শুরু করতে ট্রাম্পের অনুরোধ স্পষ্টত প্রত্যাখ্যান করেছেন সেশন্স। এটিও এ দুজনের মধ্যকার সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টির কারণগুলোর মধ্যে একটি। অ্যাটর্নি জেনারেল সেশন্সকে ঘিরে গতকাল সকালে ট্রাম্প বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন। এসব টুইটে সেশন্সের কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। একটি টুইটে ট্রাম্প নিজের নির্বাচনী শিবিরে নাশকতা চালানোর লক্ষ্যে ইউক্রেনের একটি মহলের প্রচেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরে দাবি করেন, অজ্ঞাত ওই মহলটি হিলারির পক্ষে গোপনে কাজ করে যাচ্ছিল। এ বিষয়টির কেন তদন্ত হচ্ছে না? এক টুইটে সেশন্সের প্রতি প্রশ্ন রাখেন ট্রাম্প। আরেক টুইটে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ে কর্মরত তথ্য ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত হচ্ছে না এ প্রসঙ্গ তুলেও সেশন্সের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। এর আগে সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারেও ট্রাম্প তীব্র ভাষায় সেশন্সের সমালোচনা করে বলেছিলেন, রুশ হস্তক্ষেপ তদন্ত ইস্যুতে অ্যাটর্নি জেনারেলের মনোভাব ওইরকম হবে তা আগে জানলে তিনি তাকে ওই পদে নিয়োগ দিতেন না। ট্রাম্পের রোষানলে পড়ে ইতিমধ্যে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল মাইকল ফ্লিন ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের প্রধান জেমস কোমি চাকরি খুইয়েছেন। ইনডিপেনডেন্ট অনলাইন।

সর্বশেষ খবর