মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার হুমকি এমনভাবে মোকাবিলা করা হবে যা বিশ্ব এর আগে কখনো দেখেনি। আর উত্তর কোরিয়ার হুমকি, তারা প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন দ্বীপ গুয়ামে এ মাসেই হামলা চালাবে, যেখানে প্রায় পৌনে দুই লাখ লোকের বসবাস। বিশ্বের কোনো দেশই সাহস পায় না আমেরিকাকে আক্রমণ করার। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ঘোষণা দেন তার কাছে যে ক্ষেপণাস্ত্র আছে তা আমেরিকার যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে পারবে। এছাড়া দেশটির আর একটি সাহসের বিষয় হচ্ছে তাদের কাছে এমন এক ধরনের পারমাণবিক বোমা আছে, যা আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রে সংযোজন করা যাবে। ফলে পুরো বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র আর তার মিত্রদের। একটি পুরোদস্তুর যুদ্ধ বেধে যাওয়ার সম্ভাবনা কতটা? তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ নিয়ে এখনই এতটা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তারা কিছু যুক্তিও তুলে ধরেছেন। ১. কোনো পক্ষই যুদ্ধ চাইছে না। কারণ কোরীয় উপদ্বীপে একটি যুদ্ধ কারও জন্যই কোনো সুবিধা আনবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যুদ্ধ বেধে গেলে ক্ষমতার আসন নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে কিমের। বিবিসির যুদ্ধবিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন মার্কাস বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হলে তা আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়বে। ২. শুধু কি কথার লড়াই? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে যেভাবে হুমকি দিয়েছেন, সেটা একজন প্রেসিডেন্টের জন্য ব্যতিক্রম। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র পুরোদমে যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। মার্কিন একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, উত্তেজক কথাবার্তা বাড়ছে মানে এই নয় যে, আমাদের অবস্থানও বদলাচ্ছে। ৩. আগেও এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মার্কিন সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিজে ক্রাউলে যেমনটা বলেছেন, ১৯৯৪ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র একবার সশস্ত্র যুদ্ধের কাছাকাছি চলে এসেছিল। কিন্তু সেগুলো কখনো বাস্তব হয়নি।