বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সংক্ষেপে

৫৬ লাখ কোটি টাকার সামরিক বাজেট

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট বৃহৎ ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়তে ৭০০ বিলিয়ন (প্রায় ৫৬ লাখ কোটি টাকা, এক ডলার ৮০ টাকা ধরে) প্রতিরক্ষা নীতি পাস করেছে। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার সামরিক বাহিনীকে সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী গড়ার আহ্বান জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সিনেট ওই বিল পাস করে। ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট ফর ফিসকাল ইয়ার-২০১৮ (এনডিএএ) নামের বিলটি সোমবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে ৮৯-৮ ভোটে পাস হয়। রয়টার্স। সাধারণত এই বিলের মাধ্যমেই সামরিক ব্যয়ের মাত্রা এবং কীভাবে তা ব্যয় হবে তা ঠিক করা হয়। 

সিনেটে পাস হওয়া বিলে পেন্টাগনকে অস্ত্র কেনা এবং বাহিনী সদস্যদের বেতনসহ প্রধান কার্যক্রমগুলোর জন্য ৬৪০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাকি ৬০ বিলিয়ন আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক এবং অন্যান্য যুদ্ধক্ষেত্রে খরচ করার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বেতন দুই দশমিক এক শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি এক হাজার ২১৫ পৃষ্ঠার এই বিলে নানা বিষয়ে বিস্তৃত বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে উত্তর কোরিয়ার ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, বছরের শেষে চূড়ান্ত আইন করার সময় সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে আইনপ্রণেতারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তে পারেন। বেসামরিক বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয়ের ক্ষেত্রে থাকা বাধা অপসারণ না হলে সামরিক খাতে বিপুল ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব আটকে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। গত বছর পাস হওয়া এনডিএএ বিলে সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৬১৯ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল; যার তুলনায় এ বছরের প্রস্তাব অনেক বেশি।

এদিকে সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ উভয় কক্ষেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের একটি প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স; ওই প্রস্তাবে ম্যাটিস ২০২১ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে থাকা আরও মার্কিন ঘাঁটি বন্ধের সুপারিশ করেছিলেন।

সিরীয় বাহিনীর ওপর হামলা

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে কট্টরপন্থি বিদ্রোহীরা।

হামা শহরের উত্তর দিক থেকে শুরু করা গতকালের হামলাটি মার্চের পর এই এলাকায় চালানো সবচেয়ে বড় হামলা বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর পরিচালিত গণমাধ্যম।  রয়টার্স।

এই হামলায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী অবজারভেটরি জানিয়েছে, সরকার-নিয়ন্ত্রিত গ্রামগুলোতে সুপরিকল্পিত ওই হামলাগুলোতে নুসরা ফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর জোট তাহরির আল শামসহ বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী অংশ নিচ্ছে। হিজবুল্লাহর পরিচালিত সামরিক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে, নুসরা ফ্রন্ট ও মিত্র ছোট ছোট বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো বড় ধরনের আক্রমণ চালিয়েছে এবং সেনাবাহিনী ও মিত্র বাহিনীগুলো তা প্রতিরোধ করছে।  অবজারভেটরি জানিয়েছে, যুদ্ধ বিমানগুলো ওই এলাকায় হামলা চালাচ্ছে এবং দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। সরকারি বাহিনীর অবস্থানগুলোর ওপর বিদ্রোহীরা ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে বলে জানিয়েছে তারা। অবজারভেটরি আরও জানিয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মির  হয়ে লড়াই করা একটি গোষ্ঠীও রয়েছে। সিরীয় সেনাবাহিনী ও এর মিত্র বাহিনীগুলো এপ্রিলে হামা প্রদেশ পুনরুদ্ধারের আগে বিদ্রোহীরা সরকার-নিয়ন্ত্রিত হামা শহরের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিল। হামার উত্তরাঞ্চল বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের লাগোয়া; আর ইদলিবের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণে আছে নুসরা ফ্রন্ট। রাশিয়ার কূটনৈতিক উদ্যোগে সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের যুদ্ধবিরতি বিরাজ করছিল। সেই সুযোগে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও এর মিত্রবাহিনীগুলো পূর্ব দিকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সাফল্য পাচ্ছিল। সেখানে দেইর আল জোরে আইএসের সঙ্গে যখন সরকারি বাহিনীগুলো যুদ্ধরত তখনই পশ্চিমে সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে হামলা শুরু করেছে জিহাদি গোষ্ঠীগুলো। গত সপ্তাহে কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত এক শান্তি আলোচনায় ইদলিব অঞ্চলের প্রান্তে ‘যুদ্ধের তীব্রতা হ্রাস অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হয় রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ক। কিন্তু কাজাখস্তানের ওই যুদ্ধবিরতির আলোচনার নিন্দা জানিয়ে লড়াই অব্যাহত রাখার প্রত্যয় জানিয়েছিল নুসরা ফ্রন্ট।

রেস্টুরেন্টে বোমা হামলা

ইরাকের উত্তরাঞ্চলের একটি রেস্টুরেন্টে গতকাল দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিনজন নিহত ও ৩৪ জন আহত হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানায়, ওই রেস্টুরেন্টে আইএস জঙ্গিদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। বোমা হামলাকারীরা তিকরিত ও বাইজি শহরের মাঝামাঝি সালেহিদ্দিন প্রদেশের হাজাজ শহরের ওই রেস্টুরেন্টে গতকাল হামলা চালায়। এ হামলার মাত্র পাঁচ দিন আগে একটি রেস্টুরেন্টে ও দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় চেকপয়েন্টের কাছে দুটি বোমা হামলায় ৮৪ জন নিহত হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর