রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

এবার ঝরলেন ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আট মাসে নেই আরও সাতজন

এবার ঝরলেন ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

টম প্রাইস

মাস আটেক হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এরই মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে ঝরে পড়েছে অনেক রথী-মহারথী। এদের মধ্যে কেউ পদত্যাগ করেছেন বা কাউকে সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। সর্বশেষ এই তালিকায় সংযোজন হলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী টম প্রাইস। সরকারি কাজে ব্যয়বহুল ব্যক্তিগত ফ্লাইট ব্যবহার করার কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে তিনি গতকাল পদত্যাগ করেছেন। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়,  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাইসের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। ডন জে রাইটকে ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। টম প্রাইসের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, গত মে মাস থেকে তিনি ২৪টি ব্যক্তিগত ফ্লাইটে ভ্রমণ করেন। এতে দুই লাখ ২৩ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় হয়। যা অতি ব্যয়বহুল। অভিযোগে বলা হয়, করদাতারা এসব ফ্লাইটের খরচ বহন করেন। অভিযোগ ওঠার পর প্রাইস দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পেশাগত কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ভ্রমণের নিয়ম রয়েছে। কেবল জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা এ নিয়মের বাইরে। ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার আরও তিন সদস্য এখন কড়া নজরদারিতে রয়েছেন। সরকারি  কাজে তারা এ ধরনের ব্যক্তিগত ফ্লাইট ব্যবহার করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের যেসব  রথী-মহারথী ঝরে পড়েছেন :

স্টিভ ব্যানন, ট্রাম্পের প্রধান পরামর্শক : ট্রাম্পের প্রধান পরামর্শক স্টিভ ব্যানন গত ১৮ আগস্ট পদত্যাগ করেন। হোয়াইট        হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলির সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েনের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করেন।

অ্যান্থনি স্কারামুচি, যোগাযোগ পরিচালক : হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র ১০ দিনেরও কম সময়ে ৩১ জুলাই অ্যান্থনি স্কারামুচিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

রেইন্স প্রিবাস, চিফ অব স্টাফ : টুইটারে ঘোষণা দিয়ে চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রিবাসকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। স্কারমুচিকে অব্যাহতি দেওয়ার তিন দিন আগে অর্থাৎ ২৮ জুলাই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রিবাসের জায়গায় নিয়োগ পেয়েছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ডিরেক্টর চার তারকা জেনারেল জন কেলি।

শন স্পাইসার, প্রেস সেক্রেটারি : হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার পদত্যাগ করেন গত ২১ জুলাই। ট্রাম্প অ্যান্থনি স্কারামুচিকে যোগাযোগ পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার পরই তিনি পদত্যাগ করেন। শীর্ষ ওই পদটিতে স্কারামুচির নিয়োগকে ‘বড় ধরনের ভুল’ বলে মনে করেন ৪৫ বছর বয়সী স্পাইসার। হোয়াইট হাউসে মেয়াদের অধিকাংশ সময় প্রেস সেক্রেটারি ও যোগাযোগ পরিচালক দুই দায়িত্বই পালন করেছিলেন শন স্পাইসার।

জেমস কোমি, এফবিআই পরিচালক : ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে আলোচিত সিদ্ধান্ত হলো এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে পদচ্যুত করা। গত ৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো     অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইলসংক্রান্ত      তদন্তে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়     বলে জানায় মার্কিন প্রশাসন।

মাইকেল ফ্লিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা : নির্বাচনে রাশিয়া সম্পৃক্ততার বিতর্কের মধ্যে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। এক মাসেরও কম সময় তিনি এ পদে ছিলেন।

প্রীত ভারারা, সরকারি কৌঁসুলি : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া এক সরকারি কৌঁসুলিকে (অ্যাটর্নি) গত ১১ মার্চ বরখাস্ত করে ট্রাম্প প্রশাসন। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর