ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যৌথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নির্ধারণ করতে গতকাল ইরান গেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। একদিনের এ সফরে তিনি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠক করবেন। ইরাক থেকে স্বাধীনতার প্রশ্নে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কুর্দিস্তানে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটে কুর্দিরা স্বাধীনতার পক্ষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রায় দিয়েছেন। পার্শ্ববর্তী ইরান, তুরস্ক ও বাগদাদে ইরাক সরকারের আপত্তি ও বিরোধিতা এবং হুমকি সত্ত্বেও কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার গণভোট আয়োজন করে। গণভোটকে অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছিলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি। এমনকি ফলাফল বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে কুর্দিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। গণভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর কুর্দিস্তানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরাক সরকার। ইরান এবং তুরস্কও এক্ষেত্রে বাগদাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। গণভোট কেন্দ্র করে কুর্দিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দেশ তিনটি যৌথ সামরিক মহড়াও চালিয়েছে। বিদ্যমান এ অবস্থায় কুর্দিস্তানের বিরুদ্ধে করণীয় ঠিক করতেই তেহরান সফর করছেন এরদোগান। এদিকে, কুর্দিস্তানের স্বায়ত্তশাসিত সরকার মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর অঞ্চলটিতে রাষ্ট্রপতি ও সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রয়টার্স।