শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
বেরিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউনেস্কোর ভবিষ্যৎ কী

ইউনেস্কোর ভবিষ্যৎ কী

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো থেকে বের হয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। বৃহসপতিবার সংস্থাটির বিরুদ্ধে ইসরায়েল বিরোধী আচরণের অভিযোগ তুলে প্রথমে এমন ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলও এক বিবৃতিতে সংস্থাটি থেকে বিদায় নেবে বলে জানায়। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এ সংস্থা থেকে বেরিয়ে গেলে সংস্থাটির ভবিষ্যৎ কী। কারণ ইউনেস্কোকে আর্থিকভাবে সহায়তা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম। এখন দেখে নেওয়া যাক প্রধান কী কী কাজ করে ইউনেস্কো।

ঐতিহাসিক জায়গাগুলোর নামকরণ: সারা পৃথিবীর বিশেষ স্থানগুলো চিহ্নিত করা ও সে সম্পর্কে প্রচারের দায়িত্ব ইউনেস্কোর। ‘মানবতার জন্য অসামান্য গুরুত্ব’ বহন করে এমন স্থানই সাধারণত বিবেচিত হয়। মানুষের তৈরি অথবা প্রাকৃতিক, যেটিই হোক না কেন, সেই সাইটগুলোকে তালিকাভুক্ত করে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে সেগুলোর আইনগত সুরক্ষা দেওয়া হয়। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মধ্যে রোমের কলোসিয়াম, মিসরের পিরামিড, চীনের প্রাচীর এবং বাংলাদেশের সুন্দরবন অন্যতম।

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস: শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমগুলোর মধ্যে ইউনেস্কোর প্রধান কাজ হলো ‘বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস’ পালন। ব্যক্তি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরতেই প্রতিবছর ৮ সেপ্টেম্বর এ দিবস পালন করা হয়। এছাড়া, পড়াশোনায় উৎসাহিত করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও স্কুলে বিভিন্ন উপকরণও সরবরাহ করা হয়। 

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলি রক্ষার স্বার্থেই জলবায়ুু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে ইউনেস্কো। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তা মোকাবিলা করতে বহুমুখী পদক্ষেপের প্রসার ঘটাতে ইউনেস্কোর ‘ম্যান অ্যান্ড দ্য বায়োস্ফিয়ার প্রোগ্রাম’ কাজ করে।

বিপন্ন ভাষাকে রক্ষা: হারিয়ে যেতে বসেছে এমন ভাষা শনাক্ত ও তা সংরক্ষণের চেষ্টা করে ইউনেস্কো। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘অ্যাটলাস অব দ্য ল্যাংগুয়েজ ইন ডেঞ্জার’-এ বিপন্ন প্রায় আড়াই হাজার ভাষাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। এতে দেখা যায় যে, গত তিন প্রজন্মে প্রায় ২০০ ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আগামী ১০০ বছরে আরও ৬০- ৮০ ভাগ ভাষা হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে?

মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা: ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী যেসব সাংবাদিক মত প্রকাশে বাধাগ্রস্ত হন বা যখন কেউ প্রেসের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে, ইউনেস্কো তখন নিন্দা জানায়।  সাংবাদিকদের ওপর নানা হুমকি, এমনকি তাদের হত্যা সংক্রান্ত বিষয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবেদন প্রকাশ ও সচেতনতা তৈরি করে থাকে। বিপজ্জনক এলাকায় থাকা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার প্রশিক্ষণও দেয় তারা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর