আফগানিস্তানে গতকাল দুটি মসজিদে বোমা হামলায় অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছে। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের সময় কাবুলের পশ্চিমাংশে দাস্ত-ই-বারসি এলাকার ইমাম জামান শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ৩৯ জন নিহত হন। ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে গর প্রদেশের একটি সুন্নি মসজিদে, যেখানে অন্তত ৩৩ জন নিহত হন। দেশটির একটি সেনাছাউনিতে হামলা চালিয়ে ৪৩ জন সেনাসদস্যকে হত্যার একদিন পরই এসব হামলার ঘটনা ঘটল। ইমাম জামান মসজিদে হামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, সেখানে আত্মঘাতী হামলাকারী প্রথমে নামাজে দাঁড়ানো শিয়া মুসলমানদের ওপর গুলি চালায় এবং পরে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, হামলার সময় ওই মসজিদে ‘যুদ্ধের পরিস্থিতি’ সৃষ্টি হয়। আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণের আগে নাম পড়তে থাকা লোকজনের ওপর গুলি চালায়। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। গর প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র ইকবাল নেজামির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় এক রাজনীতিবিদকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়। হামলায় ওই নেতাও নিহত হয়েছেন বলে প্রাদেশিক গভর্নরের ভাষ্য। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে গেছেন এবং বিস্ফোরণের ধরন বোঝার চেষ্টা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়াদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার দায় স্বীকার করেছে আইএস। তবে শুক্রবারের দুই হামলার পেছনে কারা রয়েছে, সে বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কাবুলেই গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দুটি শিয়া মসজিদে হামলা হয়। তার আগে মে মাসে ট্রাকবোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় অন্তত দেড়শ মানুষ, আরও চার শতাধিক মানুষ ওই ঘটনায় আহত হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের মাইওয়ান্ড জেলার চাশমো এলাকায় সেনা ছাউনিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় তালেবান জঙ্গিরা। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৩ সেনা সদস্য।
