সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কেনেডি হত্যার গোপন ফাইল প্রকাশ করবেন ট্রাম্প

কেনেডি হত্যার গোপন ফাইল প্রকাশ করবেন ট্রাম্প

জন এফ কেনেডি

১৯৬৩ সালে টেক্সাসের ডালাস শহরে গিয়েই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। ধারণা করা হয়, টেক্সাস স্কুল বুক ডিপোজিটরি নামের এক বহুতল গুদামখানা থেকে কেনেডিকে গুলি করা হয়েছিল। ঘটনার দিনই দেশটির নৌবাহিনীর সাবেক এক সদস্যকে আটক করা হয়েছিল। তার দুই দিন পর পুলিশি হেফাজতে তাকে এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে নেওয়ার পথে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সেই খুনি। এরপর থেকেই কেনেডি হত্যাকাণ্ড রহস্যে আবৃত হয়। সৃষ্টি হয় নানা ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন কেনেডি হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত গোপন নথি তিনি প্রকাশ করবেন। কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সেই গোপন নথিগুলো প্রকাশের মধ্য দিয়ে কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সত্য উন্মোচিত হবে কিনা। ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন আরও কিছু তথ্য হাতে পাওয়ার পর তিনি এই ফাইলগুলো প্রকাশের অনুমতি দেবেন। আমেরিকার ন্যাশানাল আর্কাইভসের এই নথিপত্রগুলো আগামি বৃহস্পতিবার খোলার কথা রয়েছে। তবে এগুলোর গোপনীয়তা রক্ষার মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার প্রেসিডেন্টের রয়েছে। অবশ্য, ১৯৯২ সালে মার্কিন কংগ্রেস রায় দিয়েছিল সব জেএফকে নথি ২৫ বছরের মধ্যে উন্মুক্ত করে দিতে হবে। যদি না প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নেন যে, এসব নথি উন্মুক্ত করে দিলে তা জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে। জাতীয় আর্কাইভসে ওই হত্যা সংক্রান্ত তিন হাজারের বেশি নথি আছে, যা আগে কখনো প্রকাশ করা হয়নি। আর ৩০ হাজারের বেশি নথি আগে প্রকাশ করা হয়েছে, তবে কাটছাঁট বা সম্পাদনা করে। এখনো গোপন রাখা নথিগুলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেবেন নাকি সেগুলো সম্পাদনা করে প্রকাশ করা হবে তা স্পষ্ট নয়। ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী কেনেডির হত্যা বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ তারা মনে করেন না যে, এখনো অপ্রকাশিত দলিলে বড় ধরনের বিস্ফোরক কোনো তথ্য আছে। গুলি করার দিন লি হার্ভি অসওয়াল্ডকে ডালাসে গ্রেফতার করা হয় এবং প্রেসিডেন্টকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। অসওয়াল্ড হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন ‘তাকে ব্যবহার করা হয়েছে’। ঘটনার দুই দিন পর পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন নাইট ক্লাবের মালিক জ্যাক রুবির গুলিতে প্রাণ হারান অসওয়াল্ড এবং কেনেডি হত্যাকাণ্ড আমেরিকান ইতিহাসে সবচেয়ে মুখরোচক ও বিশাল এক ষড়যন্ত্রতত্ত্বের রূপ নেয়। ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়র সেন্টার ফর পলিটিক্সের পরিচালক এবং কেনেডিকে নিয়ে একটি বইয়ের লেখক ল্যারি সাবাতো বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ‘আমেরিকার মানুষ সত্য জানতে চায়, অন্তত তাদের এটুকু জানার অধিকার আছে যে, আমেরিকার সরকার এত বছর ধরে মানুষের কাছ থেকে কি তথ্য লুকিয়ে রেখেছে। সঠিক তথ্য জানানোর জন্য আর দেরি করা উচিত নয়’, মন্তব্য করেছেন সাবাতো। বিবিসি।

 

সর্বশেষ খবর