মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

জার্মানিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা

জার্মানিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা

অ্যাঙ্গেলা মেরকেল

নির্বাচনের প্রায় দুই মাস পরে জার্মানিতে চার দলের ‘জামাইকা’ জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে প্রাথমিক আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সংখ্যালঘু সরকার অথবা নতুন নির্বাচন ছাড়া কার্যত কোনো বিকল্প থাকছে না। জার্মানিতে এমন রাজনৈতিক সংকট অত্যন্ত বিরল ঘটনা। নির্বাচনের পর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সাধারণত একাধিক দলের জোট সরকার গঠিত হয়। যেসব বিষয়ে মতৈক্য সম্ভব হয় না, সেগুলো সাধারণ কর্মসূচির বাইরেই থেকে যায়। কিন্তু গত ২৪ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের অস্পষ্ট ফলাফলের কারণে যে চারটি দল মিলে জোট সরকার গঠনের জন্য প্রায় চার সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়েছে, তাদের মধ্যে একাধিক বিষয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থান দেখা গেছে। তবে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের ইউনিয়ন শিবিরের দুই দল এবং সবুজ দল জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে সব পক্ষ ঐকমত্য অর্জনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল। কিন্তু উদারপন্থি এফডিপি দল এককভাবে আলোচনা ছেড়ে বেরিয়ে যায়। ফলে ‘জামাইকা’ জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে গেল।

এই অবস্থায় নানা সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে। এসপিডি দল যদি গোঁ ছেড়ে আবার মহাজোট গঠনে সম্মত হয়, সে ক্ষেত্রে স্থিতিশীল সরকার গঠন করা সম্ভব হবে। অথবা সংখ্যালঘু সরকার গঠনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। সে ক্ষেত্রে মেরকেলের ইউনিয়ন শিবির হয় এফডিপি কিংবা সবুজ দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করতে পারে। তবে এমন সরকার চালু রাখতে বিরোধী পক্ষের কিছু সমর্থনের প্রয়োজন হবে। জার্মানির সংবিধান অনুযায়ী নতুন করে নির্বাচন ডাকতে হলে জার্মানির প্রেসিডেন্টকে আগে চ্যান্সেলরের নাম প্রস্তাব করতে হবে। তিনি যদি মেরকেল হন, তাকে সংসদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। অথবা প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, জার্মানিতে বিভিন্ন দলের মধ্যে বর্তমানে যে নেতৃত্বের সংকট চলছে, সেই পরিস্থিতিতে তারা আবার ভোটারদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের শীর্ষে রদবদলের সম্ভাবনা যথেষ্ট রয়েছে। মেরকেল স্বয়ং নিজের সিডিইউ দলের মধ্যে আগের মতো সমর্থন পাচ্ছেন না। তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। ডয়েচে ভেলে।

সর্বশেষ খবর