রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ’

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে বিশ্বের কয়েকটি দেশে পণ্য রপ্তানি করে ২০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের অভিযোগ উঠেছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে। নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন পণ্য রপ্তানি করে দেশটি গত বছর এ অর্থ উপার্জন করেছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। একদল বিশেষজ্ঞের তৈরি প্রতিবেদনটি সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জমা দেওয়া হয়েছে।

ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।  বিবিসি।

একটি দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ঘিরে সর্বশেষ গত বছরের শেষ দিকে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন, রাশিয়া ও মালয়েশিয়ার কাছে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পণ্য রপ্তানি করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশগুলো পিয়ংইয়ংয়ের অবৈধ রপ্তানি বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। আরও দাবি করা হয়, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়ার প্রধান অস্ত্র রপ্তানিকারক কোমিদের সঙ্গে সিরিয়া এবং মিয়ানমার সরকার সামরিক সহযোগিতা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। পিয়ংইয়ং সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করছে এবং মিয়ানমারকে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও দাবি করা হয়। এ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে বলেও এতে বলা হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পিয়ংইয়ংকে পেট্রলজাত পণ্য সরবরাহ করায় কয়েকটি বহুজাতিক তেল কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তবে ওই কোম্পানিগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে, উত্তর কোরিয়ায় চীনা দূতাবাস জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পিয়ংইয়ং থেকে নিষিদ্ধ পণ্য আমদানির অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। তবে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে ‘স্বাভাবিক বাণিজ্যিক বিনিময়’ অব্যাহত রয়েছে বলে দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। সিরিয়া ও মিয়ানমারও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের সামরিক সম্পর্ক নেই বলে জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত দাবি করেছেন। বিবিসি।

 

সর্বশেষ খবর