মার্কিন সিনেট বুধবার ‘তাইওয়ান ট্রাভেল অ্যাক্ট’ নামে একটি বিল পাস করেছে। এরপর এটি প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সই করলেই এটি মার্কিন আইনে পরিণত হবে। কিন্তু চীন ওই বিলে প্রেসিডেন্টকে স্বাক্ষর না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। চীন বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিলে সই করলে প্রয়োজনে তারা যুদ্ধে যাবে। স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে চীন নিজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে মনে করে। বিলে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা এখন থেকে ‘সম্মানজনক মর্যাদা নিয়ে’ আমেরিকায় যেতে পারবেন এবং মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে যে কোনো পর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তা তাইওয়ান সফরে গিয়ে তাদের সমকক্ষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। তবে বেইজিং মনে করছে, এ বিষয়টি ‘এক চীন’ নীতির পরিপন্থী এবং এ কারণে এরই মধ্যে সিনেটে বিল পাসের প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। গতকাল চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা ‘চায়না ডেইলি’ এক সম্পাদকীয়তে লিখেছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন এই দ্বীপটির ওপর আরও বেশি সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের চেষ্টা করবেন।

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট যদি সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেন তাহলে দ্বীপটির আলাদা হয়ে যাওয়া ঠেকাতে বেইজিং বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হবে। এ ব্যাপারে চীনের পার্লামেন্টে ২০০৫ সালে পাস হওয়া একটি আইনের উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়।