রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থায় সব সহায়তা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থায় সব সহায়তা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় জাতিসংঘের গঠিত সংস্থায় আর আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা জাতিসংঘের ত্রাণ ও কাজ বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-কে ‘অবিশ্বাস্যরকমের ত্রুটিপূর্ণ’ প্রতিষ্ঠান হিসেবেও অ্যাখ্যা দিয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি।

মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্র হিদার নয়ের্ত বলেছেন, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের বিষয়টি ‘সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা শেষে’ ইউএনআরডব্লিউএ-র তহবিলে আর অর্থ না দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি  প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের এক মুখপাত্র  ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ‘হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ‘সংকট সমাধানে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবনাকে অবজ্ঞা’ করল বলেও মন্তব্য নাবিল আবু রুদেইনার। ‘ইউএনআরডব্লিউএ-র স্কুল, স্বাস্থ্য  কেন্দ্র ও জরুরি সহায়তা কর্মসূচিকে অবিশ্বাস্যরকমের ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে যে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, আমরা তা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করছি,’ টুইটারে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাটির মুখপাত্র ক্রিস গানেসও। ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় বাস্তুচ্যুত লাখো ফিলিস্তিনির সহায়তায় জাতিসংঘ এ ত্রাণ ও কাজ বিষয়ক সংস্থাটি গঠন করেছিল। ইউএনআরডব্লিউএ বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ নানা ধরনের  সেবা দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রই জাতিসংঘের এ সংস্থাটির একক বৃহত্তম দাতা। ২০১৬ সালেও মার্কিন প্রশাসন ইউএনআরডব্লিউএ-র জন্য ৩৭ কোটি ডলার ছাড় করেছিল; মধ্যপ্রাচ্যে সংস্থাটির ৩০ শতাংশ কার্যক্রমেও ছিল মার্কিন সহায়তা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসন জাতিসংঘের এ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার জন্য প্রতিশ্রুত কিস্তির ৬ কোটি ডলার ছাড় করলেও পর্যালোচনার কথা বলে বাকি সাড়ে ৬ কোটি ডলারের ছাড় আটকে দিয়েছিল। তহবিল বন্ধে সিদ্ধান্ত হওয়ায় আটকে রাখা ওই অর্থ ইউএনআরডব্লিউএ-র কাছে যাচ্ছে না বলেই ধারণা বিবিসির। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার আগেই শুক্রবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস জাতিসংঘের এ ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থায় তার দেশ সাহায্যের পরিমাণ বাড়াবে বলে জানিয়েছিলেন। ইউএনআরডব্লিউএ-র আর্থিক সংকট মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।  ‘প্রতিষ্ঠানটির এ ক্ষতি, নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না এমন চেইন রিঅ্যাকশনের সূচনা করতে পারে,’ ভাষ্য জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। বিবিসি,আলজাজিরা।

সর্বশেষ খবর