মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রাণঘাতী দুর্ভিক্ষের মুখে ইয়েমেন

জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

খাবারের অভাব, খাবারের দামের ঊর্ধ্বগতি ও দেশের প্রধান বন্দর এলাকায় যুদ্ধ তীব্র হওয়ায় ইয়েমেনে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমের প্রধান মার্ক লোকোক। এই দুর্ভিক্ষে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন তিনি। এর আগে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনের কারণে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ইয়েমেনে ৫০ লাখেরও বেশি শিশু দুর্ভিক্ষঝুঁকিতে রয়েছে। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী হেল থর্নিং-শ্মিট, ‘লাখ লাখ শিশু জানে না পরবর্তী খাবারটি কখন পাবে অথবা আদৌ পাবে কি না। উত্তর ইয়েমেনের (বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত) একটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেখানে শিশুদের কান্না করারও শক্তি নেই, ক্ষুধায় তাদের দেহ অবসন্ন হয়ে গেছে।’ এদিকে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমের প্রধান মার্ক লোকোক বলেন, এখন একটি অনিবার্য দুর্ভিক্ষের বিষয়টি নিশ্চিত। এটা ঠেকানো অনেক কঠিন হবে। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে ইয়েমেনে খাবারের দাম ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। লাখ লাখ ইয়েমেনির পক্ষে তাদের পরিবারকে খাওয়ানো ইতিমধ্যে কঠিন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ায় দেশটির প্রধান বন্দর হোদেইদাহর সক্ষমতা কমে গেছে। শস্য কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া ও রাজধানী সানায় ত্রাণ সরবরাহের প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ত্রাণ সংস্থাগুলোও সেখানে খাবার পৌঁছাতে পারছে না। তাই সেখানে বসবাসরত ৮০ লাখ মানুষ এই বছর দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারেন।

গতকালই জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ইয়েমেন সংকট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। তার আগে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি লোকোক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘দুর্ভিক্ষের বিষয়ে যা হচ্ছে তার মধ্যে একটা বিষয় হলো হঠাৎ করে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে যার কোনো আভাসই আপনি পাবেন না।’ তিনি বলেন, ‘যখন বিপর্যয় দেখা দেবে, তখন আর কিছু করার থাকবে না। সেখানে খুব দ্রুত অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। তাই আমরা বিষয়টি সবার আমলে আনার চেষ্টা করছি।’ ২০১৫ সালে মার্চ মাস থেকে ইয়েমেনে হামলা শুরু করেছে সৌদি জোট।

সর্বশেষ খবর